দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। দোয়া কবুলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা আমাদের নেক চাওয়াগুলো পূর্ণ করেন, সকল বিপদাপদ থেকে হেফাজত করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমার কাছে দোয়া করো; আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব।’ (সুরা মুমিন: ৬০) রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘নিশ্চয় তোমাদের মহান প্রভু চিরঞ্জীব ও অতি দয়ালু। যখন তাঁর কোনো বান্দা তাঁর প্রতি হাত উঠায়, তখন তিনি খালি হাতে ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন।’ (সুনানে আবু দাউদ: ১৩২০)
সুতরাং আমরা দোয়া থেকে বিমুখ হতে পারি না। এখানে এমন এক দোয়া তুলে ধরছি, যেটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা আপনাকে ক্ষতি পুষিয়ে আরও ভালোকিছু দান করবেন।
দোয়াটি হলো- إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا উচ্চারণ: ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা’জুরনী ফী মুসীবাতী ওয়াআখলিফ লী খয়রান মিনহা।’ অর্থ: ‘নিশ্চয়ই আমরা সকলে আল্লাহর জন্য। এবং আমাদেরকে তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। হে আল্লাহ! আমাকে এই মুহূর্তে এই মুসিবতে উত্তম প্রতিদান দান করুন এবং এতে আমি যা হারালাম এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করুন।’
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, কারো উপর কোনো মুসিবত আপতিত হলে এরপর সে উক্ত দোয়াটি পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তাকে মুসিবতের কারণে সওয়াব দান করবেন এবং সে যা হারিয়েছে তার চেয়ে উত্তম বস্তু দান করবেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯১৮)
মূলত এই দোয়াটি করেছিলেন উম্মুল মুমিনিন হজরত উম্মে সালামা (রা.)। এই দোয়ার পর তিনি স্বামী হিসেবে নবীজিকে পেয়েছিলেন। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমার স্বামী আবু সালামা ইন্তেকালের পর আমি উক্ত দোয়াটি পাঠ করলাম। এরপর আল্লাহ তাআলা আমাকে তার চেয়ে শ্রেষ্ঠ রাসুলুল্লাহ (স.)-কে দান করলেন। (মুসনাদে আহমদ: ১৬৩৪৪; সহিহ মুসলিম: ৩১৮; মিরকাত: ৪/১৩)