মোঃ জাফরুল হাসান, কালকিনি (মাদারীপুর) ঃ
শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা। একটি দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রাথমিক শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আজকের প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাই আগামীর উন্নত দেশের ধারক ও বাহক। যদি শিক্ষক সংকটের জন্য পড়াশোনার নামে ক্লাস ডিঙ্গিয়ে শিক্ষার্থীদের যেমনতেমনভাবে প্রাথমিক স্তরটা পার করা হয় তবে এদের দিয়ে উন্নত রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে ভয়াবহ শিক্ষক সংকট চলছে। যার ফলে পঞ্চম শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থীদের ও বাংলা ও ইংরেজি রিডিং পড়াতে সমস্যা হচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক সংকট ও কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার ঘাটতি পূরনে প্যানেল নিয়োগের দাবী প্যানেল প্রত্যাশীদের।
মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হলে এই ভয়াাবহ শিক্ষক সংকট দূর করতে হবে। যেখানে প্রতিদিন ২০০ শিক্ষক অবসরে যাচ্ছেন, রয়েছে মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রশিক্ষণ কালীন ছুটি। যার ফলে একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকে না বললেই চলে। এর বিপরীতে নতুন শিক্ষক নিয়োাগ হতে হতে তিন থেকে চার বছর লেগে যায়।
প্রায় ছয় বছর পরে ২০১৮ সালের প্রাথমিক সহকারি শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রায় ২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ৫৫ হাজার পরীক্ষার্থী যা মোট পরীক্ষার্থীর শতকরা ২.৩ ভাগ। তাদের মধ্যে চূড়ান্তভাবে ১৮ হাজার পরীক্ষার্থী সুপারিশ প্রাপ্ত হলেও বাকি ৩৭১৪৮ জন পরীক্ষার্থী সুপারিশ প্রাপ্ত হয়নি। যেখানে স্কুলগুলোতে লক্ষাধিক শিক্ষক সংকট তার উপরে ভাইভাতে কোন ফেল নেই বলা হচ্ছে তাহলে কেন এদেরকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। মাদারীপুর জেলার প্রায় প্রতিটি স্কুলেই রয়েছে শিক্ষক সংকট। তার মধ্যে অনেক বিদ্যালয় গুলোতে ১- ২ জন শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত ।
এমনিতেই শিক্ষক সংকট তার মধ্যে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহতায় প্রাথমিক শিক্ষা এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে।
শিক্ষা যদি জাতির মেরুদণ্ড হয় তবে শিক্ষার ভিত্তিকে নড়বড়ে রেখে উন্নত দেশে রুপান্তর সম্ভব নয়। তাই মাদারীপুর জেলার প্যানেল প্রত্যাশিদের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিকট আবেদন প্যানেলে নিযোগ দিয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষক সংকট দ্রুত নিরসন করুন।
জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্যানেল প্রত্যাশী কমিটির সভাপতি মো.মেহেদী হাসান বলেন, আমরা প্যানেল নিয়োগ চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, করোনার কারনে সকল ধরনের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্তিতি সান্ত হলে এ বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
কালকিনিতে প্রাথমিক শিক্ষক ঘাটতি পূরুণে প্যানেল নিয়োগের দাবী
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryLEAVE A REPLY
Recent Comments
Hello world!
on
করোনা পরবর্তী সময়ে প্রাথমিকে শিক্ষা ঘাটতি নিরসনে প্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ দিলে একদিকে যেমন কোমলমতি শিশুদের শিক্ষাকে দ্রুত এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে সেই সাথে উচ্চ শিক্ষিত মেধাবী বেকারত্বেরও বিশাল সংখ্যার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আমি মনে করি এটাই হবে মুজিব বর্ষের সেরা উপহার।
২৪ লক্ষতে ২.৩% হারে রিটেনে ৫৫হাজার উত্তীর্ণ । ভাইবাতেও ফেল নাই। শূন্যপদের ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার কথা, ব্যাপক শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ পেল ১৮ হাজার। আর আমরা বাকি ৩৭হাজার হলাম মেধাহীন ,অযোগ্য!!এটা কোন যুক্তিতে? তাই, আমাদের দাবি খুবই যৌক্তিক। প্যানেলে নিয়োগ চাই, মানতেই হবে আমাদের দাবি।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সংকট নিরসনে প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিলে বাঁচবে প্রাথমিক শিক্ষা, মৌলিক অধিকার ফিরে পাবে আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা, জাতীয় শিক্ষার ভিত্তি হবে মজবুত, সম্মানের সাথে বেঁচে থাকবে ৩৭ হাজার প্যানেল প্রত্যাশী বেকার মেধাবী সন্তান।