ঢাকার ধামরাইয়ে শীর্ষস্থানীয় ওষুধ প্রস্তুককারী প্রতিষ্ঠান দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড এর নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার লাবনীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দেয়ায় তাকে ছুটি দিয়েছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া তাকে হাসপাতালে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নীরিক্ষা করিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে বলে জানান কারখানাটির এ্যাডমিন অফিসার মো. সাফায়েতউল্লাহ।
এ ঘটনায় কারখানার সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে ওই কর্মকর্তা দাবি করলেও সেখানে অন্যান্য কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (২৩ মার্চ) সকালে ধামরাইয়ে অবস্থিত দি একমিতে ল্যাবরেটরিজের নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা আক্তার লাবনীর (৩৪) শরীরের তাপমাত্রা হঠাৎ বৃদ্ধিসহ ঠান্ডা জনিত রোগের উপসর্গ দেখা দেয়।
এঘটনায় তাকে করোনা আক্রান্ত হিসেবে সন্দেহ করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এছাড়া কারখানায় প্রবেশের সময় রাবেয়া আক্তার নামে যে নারী নিরাপত্তাকর্মী তাকে চেকিং করেন তাকেও ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টেনে পাঠানো হয়।
করোনা আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে পাঠানো নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা আক্তারের গ্রামের বাড়ি ধামরাই উপজেলার বালিয়াতে। সম্প্রতি তার স্বামী ইতালি থেকে বাড়িতে ফিরেছে এবং তার সংস্পর্শে থেকেই সানজিদা আক্তার করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
দি একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেড কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাফায়েত উল্লাহ বলেন, আমাদের একজন কর্মকর্তার শরীরে করোনার সংক্রমন সন্দেহ হওয়ায় তাকে ছুটি দিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং একজন নারী নিরাপত্তাকর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা জানান, সানজিদা আক্তার লাবনীর স্বামী গত ১৫ মার্চ ইতালী থেকে বাড়িতে এসেছে। আমরা তাকে এবং তার ছেলেকেসহ সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু সে কেন সোমবার অফিসে এসেছিল আমরা তা জানিনা। বিষয়টি জানার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা আমাদের কাছ থেকে ঘটনাটি লুকিয়ে জান। অন্যদিকে করোনা আক্রান্তে খবরটি কারখানায় ছড়িয়ে পড়ার পর তা অন্যান্য শ্রমিক-কর্মকর্তাদের মাঝে করোনো ভাইরাস এর আতঙ্ক বিরাজ করছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়ার পর ধামরাই এখন পর্যন্ত ২১ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তবে এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নূর রিফফাত আরা।