মাদারীপুর প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরের শিবচরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আদালতে মামলায় উনিশ বছর পরে আদালতের রায়ে প্রকৃত মালিক মোতালেব পুস্তি ফিরে পেলেন তার ক্রয়কৃত সম্পদ । রবিবার দুপুরে উপজেলার ভান্ডারীকান্দি এলাকার টেংরামারি গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে জমি পরিমাপ শেষে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এতে উভয় পক্ষই খুশি।

জানা’যায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ভান্ডারীকান্দি ইউনিয়নের টেংরামারি গ্রামের মোতালেব পুস্তি ও সালাম পুস্তিসহ চান্দু পুস্তির মাঝে দীর্ঘদিন যাবত জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মোতালেব পুস্তি আদালত থেকে রায় পাওয়ার পরেও সালাল পুস্তি ও চান্দু পুস্তি জমি বুজিয়ে দেয়নি। মোতালেব পুস্তি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের শরণাপন্ন হলে বিভিন্ন সময়ে সালাম পুস্তি ও চান্দু পুস্তিকে জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে কিন্তু তারা তাতে ব্যর্থ হয়। দীর্ঘদিন পড়ে আজকে একটি সালিশি মীমাংসার মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে এবং সেখানে উভয় পক্ষের কাগজপত্র দেখে এবং মৌখিক কথা শুনে এবং সেগুলোকে আলোচনা পর্যালোচনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে উক্ত জমি আমিন দারা চিন্হিত করে উভয় পক্ষের সম্মতিতে পিলার স্থাপন করা হয়। এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের সিদ্ধান্তকে তারা সাধুবাদ জানায় এবং উক্ত সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।

শালিশ পক্ষ জাহাঙ্গীর হাওলাদার বলেন দীর্ঘদিন যাবত মোতালেব পুস্তি ও চান্দু পুস্তিদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এই জমি নিয়ে মোতালেব পুস্তি আদালতে মামলা করে সেই মামলায় মোতালেব পুস্তি আদালতের রায় পায় কিন্তু তার পরেও সালাম পুস্তি ও চান্দু পুস্তি জমি না বুজিয়ে দিয়ে তাকে হয়রানি করে । হয়রানি করার কারণে আমরা সালিসিগন একটা দিন তারিখ ঠিক করে আজ আমরা জমি পরিমাপ শেষে উভয় পক্ষের জমি বুজিয়ে দিতে সক্ষম হই এবং উভয় পক্ষই এই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়।
জমি ফিরে পেয়ে মোতালেব পুস্তি বলেন ২০০৬ সাল থেকে সালাম পুস্তি ও চান্দু পুস্তির সাথে আমার জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। আজ শালিসির মাধ্যমে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে আমাকে আপোষ মিমাংসা করে দেয়। সালিসির সাথে একমত হয়ে আমি তা মেনে নিয়েছি।