Monday, May 20, 2024
HomeScrollingজুমাবারে যে নিয়মে সুরা কাহাফ পড়া খুব সহজ

জুমাবারে যে নিয়মে সুরা কাহাফ পড়া খুব সহজ

জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়া বিশেষ ফজিলতপূর্ণ আমল। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার (ঈমানের) নূর এই জুমা হতে আগামি জুমা পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মেশকাত: ২১৭৫)

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যেভাবে নাজিল করা হয়েছে, সেভাবে যে ব্যক্তি সুরা কাহাফ পড়বে, তার জন্য সেটা নিজের স্থান থেকে মক্কা পর্যন্ত আলো হবে এবং শেষ ১০ আয়াত পড়লে দাজ্জালের গণ্ডির বাইরে থাকবে আর দাজ্জাল তার ওপর কোনোরূপ প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। (সুনানে নাসায়ি: ১০৭২২)

অন্য হাদিসের বর্ণনায়, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৯; আবু দাউদ: ৪৩২৩)

ইমাম তিরমিজির বর্ণনামতে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের ১০ আয়াত পড়বে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে।’ (সুনানে তিরমিজি: ২৮৮৬) আরেক বর্ণনায়, দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচতে শেষ ১০ আয়াত পড়তে বলা হয়েছে। (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬)

জুমাবারে সুরা কাহাফ যেভাবে পড়া সহজ
বৃহস্পতিবার সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবা পর্যন্ত যেকোনো সময় সুরা কাহাফ পাঠ করলে হাদিস অনুযায়ী আমল করা হবে। কারণ, আরবি হিসাবে আগের দিন সূর্য ডোবার পর থেকে নতুন দিন শুরু হয়। সেই হিসেবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে জুমাবার শুরু। তাই বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজের পছন্দমতো সময়ে সুরা কাহাফ পড়া যায়।

আবার একাধিকভাগে ভাগ ভাগ করে সুরাটি পড়ে শেষ করলেও একই সওয়াব পাওয়া যাবে। জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়াটাই মূলত একজন মুমিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; তা জুমাবারের মধ্যে যে সময়েই হোক না কেন কিংবা ভাগ ভাগ করেই হোকনা কেন।

এই ফেতনার যুগে আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে বেশি বেশি সুরা কাহাফ পড়ার তাওফিক দান করুন। অন্তত জুমার দিনে সুরা কাহাফ পুরোটা তেলাওয়াত করার তাওফিক দান করুন। তা-ও সম্ভব না হলে সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত বা শেষ ১০ আয়াত যেন প্রতি জুমায় পড়তে পারি, সেই তাওফিক দান করুন। আমিন।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments