পবিত্র কোরআনে যেসব নবী-রাসুলের বর্ণনা এসেছে জাকারিয়া (আ.) তাঁদের অন্যতম। অলৌকিক ঘটনাবলীতে বর্ণিল ছিল তাঁর জীবন। বার্ধক্য অবস্থায় এবং স্ত্রী বন্ধ্যা হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে আল্লাহ তাআলা সন্তান দিয়েছেন। বৃদ্ধাবস্থায় সন্তান চেয়ে আল্লাহর কাছে তিনি যে আবেদন করেছেন, তা পবিত্র কোরআনে উঠে এসেছে। তাঁর সেই দোয়াটি হলো- رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء উচ্চারণ: ‘রব্বি হাবলী মিল্লাদুনকা জুররিয়্যাতান তয়্যিবাতান ইন্নাকা সামীউদ দুআ।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা! তোমার কাছ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।’ (সুরা ইমরান: ৩৮)
এ আয়াত থেকে বুঝা যায় যে, সন্তান হওয়ার জন্য দোয়া করা নবী/পয়গম্বদের সুন্নত। ইবরাহিম (আ.)-ও একসময় নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি আল্লাহর কাছে এ দোয়া করেছেন, ‘রব্বি হাবলি মিনাস সলেহিন।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমাকে সত্কর্মশীল সন্তান দান করো।’ (সুরা সাফফাত: ১০০)
আল্লাহর খাঁটি বান্দাদের পরিচয় দিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, তাঁরা পুণ্যবান স্ত্রী ও সন্তানের জন্য দোয়া করেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘রব্বানা-হাবলানা-মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যা-তিনা-কুর্রতা আ’ইয়ুন, ওয়া জা’আলনা-লিল মুত্তাকিনা ইমামা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের স্ত্রী ও সন্তানদের আমাদের জন্য নয়ন প্রীতিকর করো এবং আমাদের সংযমীদের আদর্শস্বরূপ করো।’ (সুরা ফুরকান: ৭৪)