যুবাদের এশিয়া কাপে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিল টাইগাররা। সেই ম্যাচে লঙ্কানদের রীতিমত উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। টানা তিন জয়ের পর সেমিফাইনালে টাইগারদের প্রতিপক্ষ হয় ভারত। আর ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতের ম্যাচে টসে হেরে আগে ব্যাট করে টাইগার যুবাদের বোলিং তোপে ১৮৮ রানেই অল আউট হয় ভারতীয়রা। পরে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরিফুল ইসলামের ৯৪ রানের ইনিংসের সুবাদে ৪৩ বল হাতে রেখেই ৪ উইকেটের দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, নিশ্চিত হয়েছে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে।
ভারতের দেয়া ১৮৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই ভারতীয় বোলার রাজ লিম্বানির বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরেন ওপেনার জিসান আলম। ফলে মাত্র ২ রানেই এক উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে টাইগার যুবারা।
টাইগার যুবাদের এই চাপ আরও বাড়ে ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে চৌধুরি মোহাম্মদ রিজওয়ান আউট হওয়ায়। দলীয় ২১ রানে নামা তিওয়ারির বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরেন এই টাইগার ব্যাটার। এরপর দলের বিপদ আরও বাড়ে দশম ওভারে আরেক ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলি রান আউট হলে। দলীয় ৩৪ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশি যুবারা।
তবে দলকে এ দিন বিপদ থেকে উদ্ধার করেছেন আরিফুল ইসলাম এবং আহরার আমিন। এ দুজন মিলে আজ করেছেন দায়িত্বশীল ব্যাটিং। ভারতের বিপক্ষে এই জুটিই আজ বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখিয়েছেন।
এরপর জয় তুলে নেয়ার আগে বাংলাদেশ হারিয়েছে আরও দুই উইকেট। আরিফুলের সঙ্গে দুর্দান্ত ইনিংস খেলা আহরারও ফিরেছেন ৪৪ রান করেই। তবে এরপরও জয় তুলে নিতে বেগ পেতে হয়নি জুনিয়র টাইগারদের। এ দুজনের অনবদ্য ইনিংসের সুবাদেই ৪৩ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের দুর্দান্ত জয় পায় বাংলাদেশ। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নিয়েছেন নামান তিওয়ারি।
এর আগে দুবাইয়ে আজ টসে জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশি যুবারা। আর বল হাতে ম্যাচের দ্বিতীয় বলেই টাইগারদের এগিয়ে দেন মারুফ। লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে ফেলে আউট করেন ভারতীয় ব্যাটার আদর্শ সিংকে। এরপর বল হাতে নিজের দ্বিতীয় ওভারেই আরেক ভারতীয় ওপেনার অর্শিন কুলকারনীর উইকেটও তুলে নেন মারুফ। ফলে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে ভারত।
এরপর ইনিংসের সপ্তম ওভারে আবারো আঘাত হানেন মারুফ। ফলে স্কোরবোর্ডে মাত্র ১৩ রান উঠতেই তিন ব্যাটারকে হারিয়ে ধুঁকতে থাকে ভারত। চাপে পড়া ভারতীয় যুবাদের আরও ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ। এই টাইগার বোলার এরপর ২ উইকেট নিলে ৬১ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে অনেকটাই ছিটকে পড়ে ভারতীয়রা।
তবে এরপর ধুঁকতে থাকা ভারতের হাল ধরেন মুশির খান ও মুরুগান অভিষেক। এ দুজন মিলে গড়েন ৮৪ রানের এক জুটি। মুশিরের ৫০ এবং অভিষেকের ৬২ রানের ইনিংসের সুবাদেই অল আউট হওয়ার আগে শেষ পর্যন্ত ১৮৮ রানের সংগ্রহ গড়ে ভারত। টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মারুফ।