মাদারীপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব সৈয়দ আবুল হোসেন-এর মৃত্যুতে তার শোক-সন্তাপ্ত পরিবার-পরিজন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করতে গুলশান -২ বাসভবনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এম,পি । এবং মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান মিয়া (গোলাপ), এমপি’র নির্বাচনী এলাকার ২৫ ও ২৬ শে অক্টোবর, ২০২৩ তারিখের সফর বিভিন্ন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।
সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ইন্তেকাল করেছেন। বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে ব্যবস্থাপনা বিভাগে স্নাতক এবং ১৯৭৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। আবুল হোসেন ১৯৭৯ সালের সেপ্টেম্বরে খাজা নার্গিস হোসেনকে বিয়ে করেন। তার দুটি কন্যা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করার পর আবুল হোসেন সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন এবং পরবর্তীকালে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৭৫ সালে সাকো ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড এবং সাকো এনজিও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি এশিয়ার বোয়াও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন, যা ২০০১ সালে চীনের হাইনান প্রদেশে ধারণ করা হয়েছিল।
ব্যবসায়ী আবুল হোসেন ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালে পর পর চারটি সাধারণ নির্বাচনে মাদারীপুর-৩ থেকে বাংলাদেশ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকারে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।
২০০১ সালের নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন সৈয়দ আবুল হোসেন। ২০০২ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পান।
২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে মহাজোট সরকারে যোগাযোগমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে আবারও তাকে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগের মুখে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ২০১৩ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্য থাকলেও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েন সাবেক এই যোগাযোগমন্ত্রী।