মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় এক ছাত্রলীগের সভাপতির পরকীয়া প্রেমিকার মোবাইল ফোনের একটি কল রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ ফেইসবুকে এখন ভাইরাল হয়েছে। সে বন্দরখোলা ইউনিয়ন ছাত্র লীগের সভাপতি ও বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হালেম খানের ছেলে।
এই রেকর্ডটে শোনা গেছে ছাত্রলীগ নেতা তার প্রেমিকাকে বলতেছে মুরগী চুরি করতে গেলেও আটটি পিস্তল নিয়ে যাই। এবং তার পরকীয়া প্রেমিকা বলতেছেন তুমি কষ্ট করে ছাত্রলীগ নেতা হয়েছে। এভাবেই চলছে উভয় জনের মধ্যে বাগ বিতর্ক। এনিয়ে চলছে জেলা উপজেলায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝর।
গত কয়েকদিন যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি কলরেকর্ড ভাইরাল হয়। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, মুরগী চুরি করতে গেলেও ০৮ টি পিস্তল নিয়ে যাই। তার পরকীয়া প্রেমিকার কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে আপনিতো অনেক কষ্ট করে ছাত্র লীগের নেতা হয়েছেন। আপনি ছাত্র লীগের নেতার হয়ে অনেক মেয়েদের সাথে খারাপ কাজ করেছেন। এরপরে উভয়ের মাঝে কথার কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা তার প্রেমিকার মাকে তুলে গালিগালাজ করতে শোনা যায়।
ওই ফোন কলের বিষয়ে জানা যায়, শাহাজাহান এক মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ছিলো। পরবর্তীতে ওই মহিলার সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হলে তাকে ফোন কলে শাহজাহান ০৮ টি পিস্তল ব্যবহারের কথা জানান।
এই বিষয়ে স্থানীয় নাম প্রকাশে এক যুবক বলেন, ফোনকল রেকর্ডটি শুনেছি, শাহজাহান মূলত রিমোর্ট এরিয়াতে বসবাস করে। ওখানে থেকে এই ধরনের আগ্নেয়াস্র ব্যবহার করাটা অস্বাভাবিক বলেও মনে হয় না। পরকিয়ার বিষয়টি মিথ্যা না। তবে সত্যটা আরও যাচাই করলে বের হতে পারে আরও তথ্য।
এই বিষয়ে ফোনকলের অপর প্রান্তে থাকা মহিলা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা পোষন করে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, কলরেকর্ডটি ভাইরাল হয়ে গেছে, তবে কিভাবে হয়েছে সেটা জানিনা। শাহজাহান মূলত একজন প্রতারক, সে আমার সাথে প্রতারনা করেছে। সে তার পদ ও ক্ষমতা প্রদর্শন করে অনেক মহিলার সাথে প্রতারনা করেছে। সে ভালোবাসার কথা বলে আমার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকাসহ অনেক উপহার সামগ্রী নিয়ে এখন অস্বীকার করে। বর্তমানে আমাকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি, ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার বড় দুটি সন্তান আছে। আমি সমাজের ভয়ে চুপ করে আছি।
এই ব্যপারে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি শাহজাহানের মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও কোন সারা মেলেনি।
শিবচর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রাজিব ঢালী বলেন, এরকম ঘটনা তো আমরা শুনি নাই। যদি আমাদের কাছে এরকম ঘটনা কোন অভিযোগ আসে তাহলে আমরা অবশ্যই তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।
মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জাহিদ হাসান অনিক বলেন,এই এ ধরনের অপকর্ম কোন ছাত্রলীগ নেতা করতে পারে না। যদি এরকম কোন ঘটনার সাথে শাজাহান জড়িত হয়ে থাকে। অবশ্যই আমরা উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদেরকে বিষয়টি অবগত করব। তারা যদি বিষয়টি এভাবে না দেখে তাহলে আমরা জেলা থেকে বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করব।
মুরগী চুরি করতে গেলেও ৮টি পিস্তল নিয়ে যায় ছাত্রলীগের ইউনিয়ন সভাপতি
RELATED ARTICLES
Continue to the categoryRecent Comments
Hello world!
on