জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার রাতে বরিশাল সদরের ইউএনওর বাসভবনে হামলার ঘটনার পর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বিজিবি ও অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা থেকে ১০ প্লাটুন বিজিবি রওনা হয়েছে। এ ছাড়া পিরোজপুর ও পটুয়াখালী থেকে ১০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসছেন।
এদিকে ইউএনওর সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। একটির বাদী পুলিশ, অপর মামলাটি ইউএনও নিজেই করেছেন।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ৩০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
জানা যায়, গতকাল বুধবার রাতে বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে ব্যানার সরাতে যায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসায় দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা তাদের সকালে আসতে বলে। এরপরও তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার দিকে অগ্রসর হতে চাইলে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এতে হট্টগোল বেঁধে যায়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সেই সঙ্গে দফায় দফায় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ‘নিরাপত্তার স্বার্থে’ ফাঁকা গুলি ছোড়েন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা।
এ দিকে মেয়রের ওপর হামলার খবর পেয়ে ছাত্রলীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা থানা কাউন্সিলের প্রধান ফটকে এসে জড়ো হয়। পরে তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনের দিকে ইট পাটকেল ছোড়ে। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে ও লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে বিক্ষুব্ধরা বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে অবস্থান নিলে সেখান থেকেও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে তাদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩৫ জন আহত হয়।