শামীমা বেগম মাত্র ১৫ বছর বয়সে আইএসে যোগ দিতে ইংল্যান্ড থেকে পালিয়েছিলেন। বয়স এখন ২১। কিছুদিন আগে একটি প্রামাণ্যচিত্রে জানিয়েছেন, প্রলোভনে পড়ে তিনি সিরিয়ার জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেন।
পিটার গ্যালব্রিত শামীমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এরপর দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে বলেন, ‘শামীমার সঙ্গে কথা বলেছি। এখন আর আইএসকে তিনি ধারণ করেন না। আমার মনে হয়েছে তিনি এখন আর হুমকি নন।’
সিরিয়ার যুদ্ধকবলিত দিনগুলোতে শামীমা আরেক জঙ্গিকে বিয়ে করেন। তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু বাঁচাতে পারেননি। কেউ মরেছে বোমার আঘাতে, কেউ রোগশোকে।
তিনি এখন উত্তর সিরিয়ার আল-রোজ ক্যাম্পে আছেন। ব্রিটেন সরকার তার নাগরিকত্ব কেড়ে নেয়ায় ফিরতে পারছেন না। দেশে ফিরে আইনি লড়াই করতে চাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সেটিও সম্ভব হচ্ছে না।
গত ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাজ্যের সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকেরা রায়ে বলে দিয়েছেন, ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পেতে শামীমা যে আপিল করেছেন তার শুনানিতে অংশ নিতে তাকে ব্রিটেনে ঢুকতে দেয়া উচিত হবে না।
বাংলাদেশে শামীমাদের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তার বাবা আহমেদ আলীর দুই বিয়ে। দুই সংসারে তার চার মেয়ে। শামীমার মায়ের নাম আসমা।
বাংলাদেশ সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, শামীমার নাগরিকত্বের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
শামীমাও একাধিকবার বলেছেন, তিনি ব্রিটেনে ফিরতে চান।