শুক্রবার থেকে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে নিজেদের দূতাবাস বন্ধ করে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। তারা এক বিবৃতিতে জানায়, ক্যানবেরা দেশটিতে ‘ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা বিষয়ক অনিশ্চিত পরিবেশের’ জন্য তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খবর বিবিসির।
আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহার চলছে আফগানিস্তানে। যার ফলে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় অস্ট্রেলিয়া। তারা জানায়, অস্ট্রেলিয়ান কূটনীতিকেরা প্রায় নিয়মিত আফগানিস্তান সফরে যাবেন। তবে তারা অঞ্চলটির অন্য কোথায় থাকবেন।
আন্তর্জাতিক সেনা প্রত্যাহার করা হলেও আফগানদের মধ্যে শান্তি ফিরবে কিনা তা অনিশ্চিত। আশঙ্কা রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হলে আফগানিস্তানে ফের যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হতে পারে।
এপ্রিলে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ১১ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তান ত্যাগ করবে আমেরিকান সৈন্যরা। গত ২০ বছর ধরে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিতে আমেরিকান সৈন্যরা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর বাইডেন জানিয়েছেন, ‘সময় এসেছে আমেরিকার দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ইতি টানার।’
শক্তিশালী ন্যাটো আফগান মিশনের অংশ হিসেবে ৯৬০০ সেনাবাহিনীর মধ্যে কমপক্ষে ২৫০০ জন্য আমেরিকান সৈন্য। গত দুই বছর ধরে ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে নিজেদের সৈন্য সংখ্যা কমিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ১৫০০-এর বেশি থেকে তা নেমে এসেছে ৮০ জনে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রতি জানিয়েছে, কট্টরপন্থী ইসলামি দল তালিবান আফগানিস্তানে সহিংসতা কমানোর অঙ্গীকার রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছে।