তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া কারাগারে মানে দেশের গণতন্ত্র কারাগারে। সরকার সারা দেশে দলের নেতাকর্মীদের ওপর শত নিপীড়ন-নির্যাতন চালানোর পরও বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি। ভবিষ্যতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে বিএনপি’।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
জিয়াউর রহমানকে কেন দেশের মানুষ মনে রাখবে তার কারণ ব্যাখ্যা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রক্ষমতায় গিয়ে জিয়াউর রহমান খাদ্য সংকটের এ দেশকে খাদ্য উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত করেছিলেন। সুদূর চীন থেকে তিনি উচ্চ ফলনশীল ধানের বীজ এনেছিলেন। কারখানায় উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তিন শিফট চালু করেছিলেন। বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে মুক্ত বাজার অর্থনীতি চালু করেছিলেন। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। মোট কথা এমন কোনো ক্ষেত্র ছিল না যেখানে তার হাতের ছোঁয়া লাগেনি। আধুনিক বাংলাদেশের জনক ছিলেন জিয়াউর রহমান’।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর গৃহবধূ খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেন। নয় বছর স্বৈরাচার এরশাদ সরকারবিরোধী আন্দোলন করে ১৯৯১ সালে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনেন। বর্তমান সময়ে জীবিত রাজনীতিবিদদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়া। আজকে সরকার প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নিয়েছে। গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পরও তাকে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। কারণ তারা খালেদা জিয়াকে ভয় পান’।
স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।
বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, কবি আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকালে সূত্রাপুর থানা বিএনপি আয়োজিত গরিব-দুঃখীদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। এতে অংশ নেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন. ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার প্রমুখ।