Wednesday, May 8, 2024
HomeScrollingদ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দুই সদস্যের মৃত্যু

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দুই সদস্যের মৃত্যু

বোমা বিস্ফোরণে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় সলোমন দ্বীপপুঞ্জে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজে জড়িত দুই সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, তারা অবিস্ফোরিত বোমা নিষ্ক্রিয় করার দাতব্য প্রতিষ্ঠান নরেজিয়ান পিপল’স এইডের সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে একজন ব্রিটিশ নাগরিক স্টিফেন অ্যাটকিনসন, অপরজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ট্রেন্ট লি।

রোববার সোলোমনের রাজধানী হোনিয়ারার একটি আবাসিক এলাকায় বোমা বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যু হয়।

ওশিয়ানিয়া অঞ্চলের দ্বীপ দেশ সলোমন ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ওই অঞ্চলের অন্যতম রণক্ষেত্র। যুদ্ধের সময় সেখানে ছোড়া হাজার হাজার বোমা এখনো অবিস্ফোরিত রয়েছে। সেগুলো নিষ্ক্রিয় করার কাজেই জড়িত ছিলেন অ্যাটকিনসন ও লি।

বিস্ফোরণে তাদের মৃত্যুকে ‘মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করেছে নরেজিয়ান পিপল’স এইড (এনপিএ)। তদন্তকাজ শেষে এই বোমা বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল পার নেরগাদ। এই বিস্ফোরণে ‘বিপর্যয় ঘটে গেছে’ বলে উল্লেখ করেছেন এনপিএ’র মহাসচিব হেনরিয়েত্তে কিলি ওয়েস্টথ্রিন।

প্রাণ হারানো বোমা বিশেষজ্ঞ লি ফেসবুকে নিজের পরিচিতিতে লিখেছেন- ‘কেমিক্যাল উইপনস অ্যাডভাইজার’। নিজের ভূমিকা প্রসঙ্গে লেখা আছে, জরিপ করা এবং বোমা জাতীয় বস্তুগুলো শনাক্ত করা এবং সেসব তথ্য সলোমন দ্বীপ পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের কাছে সরবরাহ করা।

বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দুই সদস্য লি ও অ্যাটকিনসনের মৃত্যুর খবর এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে রয়্যাল সলোমন দ্বীপ পুলিশ। তাতে বলা হয়েছে, নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়ার আগেই তারা অবিস্ফোরিত বোমার কাছে গিয়েছিল তারা।

এনপিএ জানিয়েছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে সলোমনে অবিস্ফোরিত বোমাগুলোর সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত তৈরি করা নিয়ে তারা দেশটির সরকারকে সহযোগিতা করছে।

এ ছাড়া ২০২৩ সালে প্রশান্ত মহাসাগরীয় গেমসের আগে রাজধানী হোনিয়ারাকে অবিস্ফোরিত বোমামুক্ত এলাকা ঘোষণা করার লক্ষ্যে কাজ করছে সলোমন সরকার।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments