মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে কারাবন্দি কাজী শহীদ ইসলাম পাপুল এবং বিএনপি নেতা হারুনুর রশীদের সংসদ সদস্য (এমপি) পদের বৈধতা নিয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
দুইজনের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা দুটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার এ রুল জারি করে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এ দুই এমপির সদস্যপদের বৈধতা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এমপি পাপুলের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শেখ আওসাফুর রহমান। আর এমপি হারুনের বিষয়ে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন।
আইনজীবী আওসাফুর পরে সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনী হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দাখিল করায় লক্ষ্মীপুর-২ আসনের এমপি পাপুলের এমপি পদের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রবিবার হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট এ আবেদনটি করেন বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আবুল ফয়েজ।
সংসদ সদস্য পাপুল অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে আছেন।
এমপি হারুনের এমপি পদের বৈধতা নিয়ে রিটকারী আইনজীবী দেওয়ান এম এ ওবাঈদ হোসেন বলেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কোনো এমপির দুই বছর বা তার বেশি সাজা হলে তার এমপি পদ বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু হারুনুর রশীদের পাঁচ বছর সাজা হয়েছে। ফলে তিনি আর এমপি পদে থাকতে পারেন না।
শুল্কমুক্ত আমদানি সুবিধায় গাড়ি কিনে তা বিক্রির মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে দুদকের দায়েরকৃত মামলায় গত বছরের ২১ অক্টোবর এমপি হারুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪।
পরে দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল ও জামিন চেয়ে হারুনের করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ তাকে ছয় মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়।
পাশাপাশি বিচারিক আদালতে তাকে দেওয়া ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড স্থগিত করে তার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে আদালত।
পরে হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল রয়েছে। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের আদেশ আপিল বিভাগে বহাল থাকলে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।