Saturday, May 4, 2024
HomeScrollingরবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু

রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে সাড়ে চার মাস বন্ধ থাকার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রম শারীরিক উপস্থিতিতে রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে। শনিবার দেশ রূপান্তরকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তাপস কান্তি বল।

তিনি জানান, ৯ ফেব্রুয়ারি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পাওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি সুনামগঞ্জের শাল্লার জোবায়ের মনিরের জামিন বাতিলের আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

তাপস কান্তি বল বলেন, ‘করোনার কারণে ট্রাইব্যুনালের বিচার বন্ধ হওয়ার পর ভার্চুয়াল মাধ্যমে মামলার বিভিন্ন বিষয়ে শুধু তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন বিচারপতিরা। এটিও বিচার কাজের একটি অংশ। তবে, শারীরিক উপস্থিতিতে দীর্ঘ দিন পর রবিবার বিচার কাজ শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেবল দুজন আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেবেন।’

এর আগে গত ৩১ মে ট্রাইব্যুনালের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ঘোষণা অনুযায়ী, সীমিত পরিসরে শুধু প্রশাসনিক কার্যক্রম চালু হয়। দেশে মার্চের প্রথম দিকে করোনার সংক্রমণ বিস্তার লাভের পর এর প্রভাব পড়ে ট্রাইব্যুনালেও। মধ্য জুনে জ্যেষ্ঠ প্রসিকিউটর রানা দাসগুপ্ত সস্ত্রীক কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হন। ইতোমধ্যে তারা সুস্থ হয়েছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান তার মেয়েসহ কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ধানমন্ডির বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত এপিবিএন’র (আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন) ৮১ সদস্যের মধ্যে ২২ সদস্য বিভিন্ন সময়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ায় গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালকে কার্যত লকডাউন ঘোষণার কথা জানান প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম।

একাত্তরে গণহত্যা, হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগের মতো গুরুতর অপরাধের বিচারের লক্ষ্যে ২০১০ সালের ২৫ মার্চ পুরোনো হাইকোর্ট ভবনে যাত্রা শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বিচারকাজে গতি আনতে ২০১২ সালের ২২ মার্চ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরও একটি আদালত গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটি ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করা হয়।

এখন বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির টাইব্যুনালে বিচার কাজ চলছে।

এখন পর্যন্ত ৪১টি রায়ে ৬৯ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে ৯৫ জনের। ৩৬টি মামলার বিচার নিস্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে।

এর মধ্যে ২১ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে, একটি মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ এবং ৩টি মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্কের (আর্গুমেন্ট) পর্যায়ে রয়েছে।

বেশ কিছু মামলায় অভিযোগ গঠন হয়েছে কিংবা অভিযোগ গঠনের পর্যায়ে রয়েছে।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments