মাদারীপুর জেলার শিবচরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৩ জুলাই উপজেলার করোনা আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি হন উপজেলার রাজারচর ও চরকাঁচিকাটা এলাকার দুই যুবক।
আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় দ্বিতীয়বার স্যাম্পল দেয়ার পর গত ২৫ জুলাই তাদের দুইজনকে করোনা নেগেটিভ বলে আইসোলেশন থেকে রিলিজ দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
এর দুইদিন পর ২৭ জুলাই পাওয়া করোনা রিপোর্টে দেখা গেছে রিলিজ পাওয়া ওই দুইজনের একজন করোনা পজিটিভ!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৩ তারিখে করোনা পজিটিভ নিয়ে উপজেলার বহেরাতলা ইউনিয়নে হাজী আবুল কাশেম উকিল মা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নির্মিত করোনা আইসোলেশন কেন্দ্রে উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের রাজারচর ও উমেদপুর ইউনিয়নের চরকাঁচিকাটা এলাকার দুই যুবক ভর্তি হন।
এরপর ২৫ তারিখে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে করোনা নেগেটিভ লিখে সঙ্গে জিংক ও সিভিট ট্যাবলেট ১ মাস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ওই দিন দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক তাদের হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেন।
খুশি মনে বাড়ি ফিরে এসে স্বাভাবিক কাজকর্মে মনোযোগ দেন দুই যুবক। এর দুইদিন পর ২৭ তারিখে করোনা টেস্টের রেজাল্ট আসলে রিলিজ পাওয়া ওই দুই ব্যক্তির নাম পাওয়া যায় তালিকায়। তাদের মধ্যে একজনের নামের সামনে পজিটিভ লেখা রয়েছে। অন্যজনের নেগেটিভ।
করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসা ব্যক্তি জানান সেদিন আইসোলেশন কেন্দ্রে চিকিৎসক ডা. ইফ্ফাত আফরিন ও ডা. হিল্লোল দায়িত্বে ছিলেন।
ছাড়পত্র পাওয়া অপর ব্যক্তি বলেন, ১৩ জুলাই করোনা পজিটিভ নিয়ে আইসোলেশন কেন্দ্রে ভর্তি হই। এর মধ্যে দ্বিতীয়বার নমুনা দেয়া হলে ২৫ তারিখ আমার করোনা নেগেটিভ জানিয়ে আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র দেন। পরে ২৭ তারিখ হাসপাতাল থেকে কেউ ফোন দিয়ে বলে- আপনার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসছে।
তিনি আরও বলেন, এই রকম কেন হলো বুঝলাম না। তবে হাসপাতাল থেকে ফোন পাবার পর বাড়িতেই আলাদা থাকছি। এখন শারীরিকভাবে সুস্থই আছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সেদিন আইসোলেশন কেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা ডা. হিল্লোল বলেন, হাসপাতাল থেকে ফোনে জানানো হলে আমরা ব্যবস্থাপত্র দিয়ে দুইজনকে ছাড়পত্র দেই।
তিনি বলেন, আমাদের আসলে রেজাল্ট দেখার সুযোগ হয় না। হাসপাতাল থেকেই ফোনে নির্দেশনা দেয়া হয়।
উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘এমনটা তো হবার কথা নয়। বিষয়টি দেখছি যোগাযোগ করে। আপনি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শশাঙ্ক চন্দ্র ঘোষ বলেন, আমাদের কো-অর্ডিনেটর রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে দেখি কি হয়েছে।