মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত ইফতার সামগ্রী প্রস্তুত, সংরক্ষণ ও বিক্রয় বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ দুপুরে মাদারীপুর শকুনি লেক পাড়ের রেইন ফরেস্ট রেস্টুরেন্টের হল রুমে মাদারীপুর জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতির আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মাদারীপুর জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতি সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম মাসুদের সভাপতিত্বে অতিথি ছিলেন মাদারীপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসের জেলা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম শরীফুর রহমান, মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শেখ আহাদুজ্জামান, মাদারীপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও সাংবাদিক মেহেদী হাসান সোহাগসহ শকুনি লেক পাড়ের চারপাশের লবঙ্গ রেস্টুরেন্ট, সিক্রেট সল্ট রেস্টুরেন্ট, ক্রেভিংস রেস্টুরেন্ট,ডেলিসিয়াস রেস্টুরেন্ট,কাচ্চি সম্রাট রেস্টুরেন্ট,ক্যাফে৯৫ রেস্টুরেন্ট,স্টার হাউজ রেস্টুরেন্ট,ড্রিম হাউস রেস্টুরেন্ট, স্বপ্ন চুড়া রেস্টুরেন্ট,লেক ভিউ রেস্টুরেন্ট,স্যান্কসিন রেস্টুরেন্ট,আড্ডা ক্যাফে রেস্টুরেন্ট,জুসিলাইভ রেস্টুরেন্ট,বেইক হলিক রেস্টুরেন্ট,কিচেন অন ফায়ার রেস্টুরেন্ট, টেস্ট ফরএভার রেস্টুরেন্টসহ শকুনি লেকপাড়ের ১৯ টি রেস্টুরেন্টের বিভিন্ন মালিক
ও মাদারীপুর জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতি বিভিন্ন কর্মকর্তা ও সদস্য বৃন্দ।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের পরিদর্শক শেখ আহাদুজ্জামান জানান, গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহারে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে এবং অগ্নি নির্বাহ যন্ত্র ব্যবহার সঠিকভাবে জানা ও আগুন লাগলে অগ্নি নির্বাহ যন্ত্র ব্যবহার ছাড়াও কি কি করতে হবে সে সম্পর্কে জানা। এছাড়া আগুন লেগে গেলে অবশ্য ফায়ার সার্ভিসে ফোন দিতে হবো যত দ্রুত পারা যায়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম শরীফুর রহমান জানান, আইন অনুযায়ী সকল রেস্টুরেন্ট মালিকদের অবশ্যই পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নিয়ে নিবেন। এতে সরকার ও দেশের মানুষের জন্য ভালো বিষয়। রেস্টুরেন্টে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখবেন।
মাদারীপুর জেলা নিরাপদ খাদ্য অফিসের জেলা কর্মকর্তা মো: রফিকুল ইসলাম জানান, পোড়া তেলের ব্যবহার করা যাবে না, খাদ্যে কোন প্রকার কাপড়ের রঙ্গের ব্যবহার করা যাবে না, রান্নার স্থান ও রেস্টুরেন্ট পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকতে হবে, পলিথিন বাদে লেখা মুক্ত কাগজের ব্যবহার করতে হবে, ফ্রিজিং করা ইফতার বিক্রি করতে পারবেন না, রান্না করা ও কাচা খাবার একই ফ্রিজে রাখা যাবে না, খাদ্য সামগ্রিক ক্রয় করায় ভাইচার সংগ্রহ করতে হবে। ইফতারের খাদ্য সামগ্রীতে কোন ভেজাল আছে কিনা সে ব্যবহারে সকল কিট আমাদের কাছে আছে, রেস্টুরেন্টের মালিকরা ইচ্ছে করলেই আমাদের অফিসে এসে পরিক্ষা করে নিতে পারেন।
মাদারীপুর জেলা রেস্টুরেন্ট মালিক কল্যাণ সমিতি সভাপতি মো. শরীফুল ইসলাম মাসুদ জানান, আমাদের রেস্টুরেন্টে ১০০% চেস্টা করি ভেজাল মুক্ত খাবার পরিবেশন করতে। এবং আমাদের মাদারীপুর প্রবাসীরা বেশী’ যে কারনে উন্নত মানের পরিবেশ ও পরিবেশনা করে থাকি। এমনকি যে খাবার তৈরি করি সেই আমাদেরই কোন আত্মীয় ও ভাই ব্রাদার করে থাকে তাই সবসময় চিন্তা করি ভালোটাই দেয়ার।