Friday, April 18, 2025
HomeScrollingনবান্নের আনন্দে সোনালী ধান তুলতে ব্যাস্ত কৃষাণ সোলায়মান

নবান্নের আনন্দে সোনালী ধান তুলতে ব্যাস্ত কৃষাণ সোলায়মান

মো.সাইদুল ইসলাম , মৌলভীবাজার।

চলছে অগ্রহায়ণ মাস, আমন ধান ঘরে তুলার সঠিক সময়। প্রতি বছর যখন এই মাসটি আসে তখন সারাদেশের ন্যায় মৌলভীবাজারে রোপা-আমন ধান কাটার ধুম পড়ে যায়। এবার তার ব্যতিক্রম হয়নি। জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার আমন মাঠ এখন সোনালী রঙ ধারণ করেছে। তাইতো কৃষকেরা ধান কাটা ও মাড়াইয়ের মহোৎসব করছেন। কৃষিতে আধুনিক যন্ত্র ব্যবহারের ফলে কৃষকেরা মাঠেই ধান মাড়াই ও সিদ্ধের কাজ সারছেন। আবার গ্রামাঞ্চলের জমি থেকে পাকা ও আধা পাকা ধান চুরি হয়ে যাওয়ায় কৃষকরা রাত জেগে ধানক্ষেত পাহারা দিচ্ছেন।

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলার আমন ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা যায়, দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালী ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে সোনালী রঙের নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম। নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে জেলা জুড়ে। এখন মাঠের সোনালী ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। কয়েকমাস আগে যে স্বপ্ন বুনেছিল ধান ঘরে আসার সাথে সাথে সে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। নানা ব্যস্ততায় বাড়ির উঠান ও কৃষি জমিতে ধান রেখে চলছে ধান মাড়াই ও সিদ্ধের মহোৎসব।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্র শতভাগ পূরণ হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকেরা প্রায় ৬০ শতাংশ ধান ঘরে তুলেছেন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে আমন ধান ঘরে তুলা শেষ হবে।

কৃষকরা জানান, ইরি মৌসুমে জমি থেকে ফসল কেটে সরাসরি বাড়ি নিয়ে এলেও আমন ধান কেটে সরাসরি বাড়ি নিয়ে আসেন না তারা। শুকানোর জন্য কাটা আমন ধান চার-পাঁচ দিন জমিতেই রেখে দেন। তারপর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সুযোগে কৃষকদের জমিতে কেটে রাখা ধান এমনকি আধা পাকা ধানও কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা।

কমলগঞ্জ উপজেলার আলীনগর ইউনিয়নের গোবিন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক সোলাইমান হোসেন বলেন, ‘প্রায় দেড় একর জমিতে আমন ধান চাষ করেছি। ১০০ মনের মতো ধান পেয়েছি। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই ধানক্ষেত পাহারায় চলে যেতে হচ্ছে। পাঁচ-ছয় দিন ধরে জমিতে পাহারা দিচ্ছি। তিনি বলেন, এখানে ধান মাড়াইর পর খলা তৈরী করে ধান সিদ্ধ করে শুকাই। শুকানোর পর সেই ধানগুলো বাড়িতে নিয়ে যাই।’

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সামছুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‌‘চলতি মৌসুমে এ জেলায় আমন ধান ভালো হয়েছে। বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকেরা আবার ধানের চারা সংগ্রহ করে রোপণ করেন। ইতিমধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ধান কৃষকেরা ঘরে তুলেছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে সব ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।’

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments