প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বৃহস্পতিবার বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জন মারা গেছেন, এর চেয়ে কষ্টের আর কী হতে পারে! অথচ অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানোর নির্দেশ দিচ্ছি, সেটা কিন্তু মানা হচ্ছে না। এসব ক্ষেত্রে সচেতনতা খুব জরুরি।
শুক্রবার (০১ মার্চ) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিমা সম্পর্কে মানুষকে আরও সচেতন করার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বিমা করলে কী সুবিধা সেটা মানুষকে জানাতে হবে। সামান্য একটা প্রিমিয়াম দিয়ে একটা বিমা করলে, পরে কিন্তু অনেক সমস্যা হয় না। বিমার টাকা যেন মানুষ সহজে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিমা নিয়ে যারা দুই নম্বরি করে, তারা আবার টাকাও পেয়ে যায়। কারণ, তারা ম্যানেজ করে ফেলে। কেউ যাতে ম্যানেজ করতে না পারে, আর সত্যিকার যাদের প্রাপ্য তারা যেন সহজে পায় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
অনেক সময় বিমা নিয়ে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসাও করেন উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, হয়তো দেখা গেল সামান্য আগুন, পরে অনেক বেশি ক্ষতি দেখায়। যারা যায় তদন্তে তাদেরও ম্যানেজ করে ফেলে। এমন কিছু ঘটনা আমি নিজেও ধরেছি।
উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেখলাম একটা পোশাক কারখানায় ঘনঘন আগুন লাগে। এরপর তদন্তে দিলাম। দেখা গেল ওই কারখানার এক কর্মীকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হলো আগুন লাগানোর জন্য। আর দাবি করা হলো ৪০ হাজার কোটি টাকা। অথচ এই পরিমাণ টাকার মালামাল পুড়েওনি। নিজেই আগুন লাগাতো, মোটা অংক দাবি করতো।