Thursday, May 9, 2024
HomeScrollingবাদ পড়া ১৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পেলেন ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’

বাদ পড়া ১৩ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী পেলেন ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’

টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন সেখানে বাদ পড়েছেন পুরনোদের বেশির ভাগ। তবে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেও আগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের অনেককে ‘সান্ত্বনা পুরস্কার’ হিসেবে সংসদীয় কমিটির সভাপতি করছেন সরকারপ্রধান ও সংসদ নেত্রী।

গতকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত পাঁচ কার্যদিবসে ৫০টি স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি কমিটিতে সভাপতির পদ পেয়েছেন সাবেক ১৩ মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী, যারা গত মেয়াদে মন্ত্রিসভায় ছিলেন। গত মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর সংখ্যা ছিল ৩০ জন।

মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়াদের মধ্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন।

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভূমি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন

পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এই মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন সরকারের গত মেয়াদে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা ইমরান আহমদ।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি হয়েছেন শরীফ আহমেদ। সরকারের গত মেয়াদে তিনি এই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।

এছাড়া আ হ ম মুস্তফা কামালকে অর্থ, এম এ মান্নানকে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয়। তারা আওয়ামী লীগের গত মেয়াদে ওই দুই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন। গত মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে করা হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি। টিপু মুনশিকে বাণিজ্য; আব্দুর রাজ্জাককে কৃষি; শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ এবং জাহিদ আহসানকে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি করা হয়। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি করা হয় ওই মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে।

কী সুবিধা পান সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা

মন্ত্রণালয়ের কাজের জবাবদিহিতা ও অগ্রগতি তুলে ধরতে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি ছায়া মন্ত্রণালয় হিসেবে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী প্রতি মাসে অন্তত একটি করে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

নির্বাচিত ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যদের নিয়ে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সভাপতি হিসেবে সংসদ নেতার অনুমতিক্রমে জাতীয় সংসদের প্রধান হুইপ কমিটি গঠন করে থাকেন। প্রয়োজনে কমিটি পুনঃগঠন করা যেতে পারে।

কমিটিতে একজন সভাপতি ছাড়াও ৯ জন সংসদ সদস্য এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ওই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকেন। তবে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী বিশেষ আমন্ত্রণে বৈঠকে অংশ নেন।

সংসদীয় কমিটির সভাপতিরা সংসদ এলাকায় সরকারিভাবে একটি অফিস পেয়ে থাকেন। এর বাইরে একজন ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) পেয়ে থাকেন, একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর থাকে।

এছাড়া অফিসে আপ্যায়ন খরচ বাবদ ১২ হাজার টাকা মাসিক ভাতা পেয়ে থাকেন। সংসদ সচিবালয় থেকে সরবরাহ করা একটি ফ্ল্যাট পেয়ে থাকেন। এর বাইরে বিশেষ কোনো সুবিধা নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কাজের সুবাদে বিদেশ ভ্রমণের সুযোগ থাকে সভাপতিসহ অন্যান্যদের।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments