কিয়েভসহ ইউক্রেনজুড়ে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। মঙ্গলবার একের পর এক বোমা হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ, উত্তর-পূর্বের শহর খারকিভসহ একাধিক অঞ্চলে এই হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় ঘটনায় এখনো পর্যন্ত চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন হামলার পর আবারও মিত্রদের কাছে সামরিক সাহায্যের আবেদন করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, কিয়েভের সবচেয়ে জনবহুল এলাকাতেও বিস্ফোরণ হয়েছে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি রাশিয়ার বোমারু ড্রোন । ওই ড্রোন থেকে একটি বাড়িতে আগুন লেগে গেছে।
ঘটনার পর একটি ভিডিও বিবৃতি দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘আরও একবার সারারাত ধরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। বন্ধু দেশগুলোর কাছে আরও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানাচ্ছি।’
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, অন্তত ৭০টি মিসাইল ধ্বংস করা হয়েছে। এরমধ্যে ৬০টি মিসাইল কিয়েভের দিকে যাচ্ছিল।
বিশ্বের সব দেশের কাছে কুলেবার বার্তা, ‘আমাদের আরও উন্নত অস্ত্রের প্রয়োজন। ৩০০ কিলোমিটারের লংরেঞ্জ মিসাইল, উন্নত ড্রোন- সব প্রয়োজন। দ্রুত এই সাহায্য পাঠানো হোক কিয়েভে।’
একই সঙ্গে রাশিয়ার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত বা ফ্রিজ করার আহ্বান জানিয়েছেন কুলেবা। জানিয়েছেন, পৃথিবীর সমস্ত দেশ থেকে রাশিয়ার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হোক।
এদিকে ইউক্রেনকে দেওয়া যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ আটকে দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাজ্য দুইটি মাইনহান্টার যুদ্ধজাহাজ দিয়েছিল ইউক্রেনকে। সেই জাহাজ তুরস্ক হয়ে কৃষ্ণসাগরে ঢোকার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তুরস্ক জাহাজ দুইটি কৃষ্ণসাগরে ঢুকতে দেয়নি। ১৯৩৬ সালে যে চুক্তি হয়েছিল, তাতে যুদ্ধ চলাকালীন কোনো যুদ্ধ জাহাজ কৃষ্ণসাগরে ঢুকতে দেয়ার কথা নয়। যুদ্ধরত দুই দেশের কাছেই যাতে কোনো যুদ্ধজাহাজ পৌঁছাতে না পারে, সেই চুক্তি হয়েছিল ওই কনভেনশনে। ফলে ইউক্রেনের কাছেও জাহাজ যেতে পারবে না।
তুরস্কের এই পদক্ষেপে খুশি নয় ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যও এ নিয়ে তুরস্কের সঙ্গে কথা বলেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত তুরস্ক ওই জাহাজ ছাড়তে রাজি হয়নি।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জেলেনস্কির। সুনাক জেলেনস্কিকে আরও সামরিক সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, সুনাক ইউক্রেনকে দূরপাল্লার মিসাইল এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।