Tuesday, May 7, 2024
HomeScrollingভয়াবহ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দায়ী করছে ই

ভয়াবহ হামলায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দায়ী করছে ই

ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সাবেক প্রধান কাশেম সোলাইমানির সমাধিস্থলের কাছে জোড়া বোমা হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। কাশেম সোলাইমানি খুন হওয়ার চতুর্থ বার্ষিকীতে তার সমাধির পাশে বোমা হামলার এ ঘটনা ঘটল। এই ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে দায়ী করছে ইরান।

বুধবার সন্ধ্যায় ইরানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়ে বলা হয়েছে, ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর কেরমানে অবস্থিত সাহেব আল–জামান মসজিদে জমায়েত মানুষের ওপর এ হামলা হয়েছে। এতে প্রায় দুইশ জন আহত হয়েছেন। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার

কেরমান প্রদেশের ডেপুটি গভর্নরকে উদ্ধৃত করে আইআরআইবি একে একটি সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে বর্ণনা করছে। ঘটনাস্থলের একটি ভিডিও অনলাইন মাধ্যমগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর মসজিদের আশপাশের সড়কে অসংখ্য ক্ষতবিক্ষত লাশ পড়ে আছে।

খবরে বলা হয়েছে, কাশেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আজ বুধবার শত শত মানুষ হেঁটে হেঁটে তার সমাধিস্থলের দিকে যাচ্ছিল।

প্রাণঘাতী হামলার কেউ দায় স্বীকার করেনি। তবে এই ঘটনায় ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেছে তেহরান। গাজায় ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ এবং মঙ্গলবার লেবাননে হামাসের একজন সিনিয়র নেতার হত্যাকাণ্ডে মধ্যপ্রাচ্যের উচ্চ উত্তেজনার মধ্যেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে ইরান।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন কাশেম সোলাইমানি। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির পর দেশটির ‘সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি’ মনে করা হতো কাশেম সোলাইমানিকে।

আইআরজিসির কমান্ডার হিসেবে বহির্বিশ্বে বাহিনীটির কর্মকাণ্ড পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কুদস ফোর্সের দেখভাল করতেন সোলাইমানি। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের ভূরাজনৈতিক কৌশল তৈরির নেপথ্য কারিগর হওয়ায় তাকে তেহরানের মধ্যপ্রাচ্য নীতির স্থপতি হিসেবে মনে করা হতো।

কাশেম সোলাইমানিকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন নীতির জন্য হুমকি মনে করত ওয়াশিংটন। ২০২০ সালে সোলাইমানিকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কাশেম সোলাইমানিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী’ বলেও বর্ণনা করেছিলেন ট্রাম্প।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments