Tuesday, July 1, 2025
HomeScrollingমথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের অনুমোদন

মথুরার শাহী ঈদগাহ মসজিদে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের অনুমোদন

ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের ইলাহাবাদ হাইকোর্ট মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির সংলগ্ন শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্সে প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের (এএসআই) অনুমোদন দিয়েছে। বারাণসীর জ্ঞানবাপীর পরে এবার মথুরার এ মসজিদ চত্বরেও সমীক্ষার নির্দেশ দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার শাহী ঈদগাহ কমপ্লেক্স জরিপের জন্য আদালতের তত্ত্বাবধানে অ্যাডভোকেট কমিশনার নিয়োগের দাবি মেনে নিয়েছেন আদালত। হিন্দু পক্ষের আইনজীবী হরিশঙ্কর জৈন, বিষ্ণুশঙ্কর জৈন, প্রভাস পাণ্ডে এবং দেবকী নন্দন মথুরার শাহী ঈদগাহকে ‘শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি’ বলে চিহ্নিত করে সেখানে ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের দাবি তুলেছিলেন। এর বিরোধিতা করেছিল মুসলিম পক্ষ।

আবেদনে দাবি করা হয়, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মস্থানটি মসজিদের নীচে এবং সেখানে অনেক নিদর্শন রয়েছে – যা প্রমাণ করে যে মসজিদটি একটি হিন্দু মন্দির ছিল। আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন বলেন, আবেদনে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছিল যে সেখানে একটি পদ্ম আকৃতির স্তম্ভ রয়েছে যা হিন্দু মন্দিরগুলোর একটি বিশেষত্ব।

শুনানি শেষের পর গত ১৬ নভেম্বর রায় সংরক্ষিত রেখেছিল বিচারপতি ময়াঙ্ক কুমার জৈনের নেতৃত্বাধীন ইলাহাবাদ হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। আজ সেই রায় ঘোষিত হয়েছে। একজন কোর্ট কমিশনারের পর্যবেক্ষণে জরিপের কাজ হবে শাহী ঈদগাহের বিতর্কিত ১৩.৩৭ একর জমিতে। কোর্ট কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত শুনানি হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর।

হিন্দুত্ববাদীদের দাবি, ঈদগাহের ওই জমিতে কৃষ্ণের জন্মস্থানে ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। কাশীর ‘আসল বিশ্বনাথ মন্দিরের’ মতোই মথুরার মন্দির ধ্বংস করেছিলেন মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব। সেই জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদের জেরেই জরিপের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে, মথুরা আদালত আমিন জরিপের অনুমোদন দিয়েছিল, কিন্তু উচ্চ আদালতে মুসলিম পক্ষের আপত্তির পরে আমিন জরিপ পরিচালনা করা যায়নি। এবার হাইকোর্টের আদেশের পর মুসলিম পক্ষ সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ১৯৬৮ সালে শ্রীকৃষ্ণ জন্মস্থান সেবা সংস্থা এবং শাহী মসজিদ ঈদগাহ ট্রাস্টের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছিল, এতে ১৩.৩৭ একর জমির মধ্যে ১০.৯ একর জমি কৃষ্ণ জন্মভূমিকে এবং ২.৫ একর জমি মসজিদকে দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ২২ ডিসেম্বর ভারতীয় প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ (আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ  ইন্ডিয়া)-এর অধীনে সেখানে জরিপ চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল মথুরা আদালত।  কিন্তু সেই নির্দেশকে ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইনে চ্যালেঞ্জ জানানো হয় ইলাহাবাদ হাইকোর্টে। ১৯৯১ সালের ওই আইনে বলা হয়েছিল, ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্টের পর দেশে যে ধর্মীয় স্থান যে অবস্থায় ছিল, সে ভাবেই তা থাকবে। কিন্তু, এবার মুসলিম পক্ষের সেই দাবিতে সায় দিলো না ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।

সূত্র : এবিপি

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments