২০২৩ সালে রেকর্ড অষ্টম ব্যালন ডি’অর জেতেন লিওনেল মেসি। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বর্ষসেরার খেতাব জেতা আর্জেন্টাইন সুপারস্টার ২০১০ সালে জেতেন দ্বিতীয় ব্যালন ডি’অর। তবে সেবার নাকি বর্ষসেরা হওয়ার যোগ্য ছিলেন না মেসি। নেদারল্যান্ডসের সাবেক প্লেমেকার ওয়েসলি স্নাইডারের দাবি, ২০১০ ব্যালন ডি’অরের যোগ্য দাবিদার ছিলেন তিনি নিজে। মিশরীয় চ্যানেল আলহায়াকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন স্নেইডার। তাদের বরাত দিয়ে দিয়ারিও এএস প্রকাশ করছে স্নেইডারের সেই সাক্ষাৎকার, সেখেনেই এমনটা জানান ডাচ এই তারকা ফুটবলার।
ইন্টার মিলানের হয়ে ২০০৯-১০ মৌসুমে ট্রেবল শিরোপা জিতেছিলেন নেদারল্যান্ডসের মিডফিল্ডার ওয়েসলি স্নেইডার। সেবার হোসে মরিনহোর দলকে স্কুদেত্তো, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও কোপা ইতালিয়া জেতাতে দারুণ ভূমিকা রেখেছিলেন স্নেইডার। এরপর বিশ্বকাপেও নেদারল্যান্ডসকে ফাইনালে তোলার পথে পাঁচ গোল করে দারুণ অবদান রাখেন। তবে তারপরও সেবার ব্যালন ডি’অরে ভাগ্য সহায় হয়নি তার। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ব্যালন ডি’অর জিতে নেন লিওনেল মেসি।
ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক এই তারকা যোগ করেন, ‘আমি এমন মানুষ না যে, এটি নিয়ে কান্নাকাটি করব। ব্যালন ডি’অর একটি ব্যক্তিগত পুরস্কার এবং আমি দলবদ্ধ ট্রফি জেতাটাকেই এগিয়ে রাখি। যদি আমাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ব্যালন ডি’অরের মধ্যে একটি বেছে নিতে বলা হয়, তবে আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগকেই নেব, যেটি আমি জিতেছি। আমি এই শিরোপাটি নিয়ে দারুণ খুশি। ২০১০ সালের ফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে আমাদের জয় প্রাপ্য ছিল, কিন্তু তারা অবিশ্বাস্য ছিল এবং আমাদের হারিয়েছে। ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো অসাধারণ অর্জন যে স্বপ্নটা আমি দেখেছি এবং সেই হারে আজও আমার হৃদয় বিধ্বস্ত।’
২০১০ সালে ক্লাবের হয়ে ট্রেবল ও নেদারল্যান্ডসের হয়ে ফাইনাল খেলার পরও ব্যালন ডি’অরের মঞ্চে সেরা তিনে জায়গা পাননি স্নেইডার। বার্সেলোনার হয়ে লিগ জেতা মেসি ২২ শতাংশ ভোট নিয়ে ব্যালন ডি’অর জেতেন। বার্সেলোনায় তার দুই সতীর্থ এবং স্পেনকে বিশ্বকাপ জেতানো আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ১৭ শতাংশ এবং জাভি ১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় হন। ১৪ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ হন স্নেইডার। ২০১৯ সালে ফুটবল থেকে বিদায় নেন তিনি।