Monday, May 20, 2024
HomeScrollingসাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান

সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।

সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমকে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা ও ক্ষোভ থেকে উচিত শিক্ষা দিতে হত্যার পরিকল্পনা করে চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু। এজন্য ঘটনাস্থল থেকেই হত্যার নির্দেশনাও দিয়েছেন তিনি বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

র‌্যাব বলছে, সাংবাদিক নাদিম চেয়ারম্যান বাবুর অপকর্ম নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বাবু ক্ষিপ্ত হয়ে নাদিমকে বিভিন্নভাবে হুমকিসহ তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে ময়মনসিংহের সাইবার ট্রাইব্যুনাল মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলা খারিজের বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম নাদিম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ায় বাবু আরও ক্ষিপ্ত হয়ে সাংবাদিক নাদিমকে উচিত শিক্ষা দেয়ার পরিকল্পনা করে।
শনিবার (১৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মইন।

শনিবার সকালে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহমুদুল আলম বাবুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যরা হলেন, মো. মনিরুজ্জামান মনির ওরফে মনিরুল (৩৫), জাকিরুল ইসলাম (৩১) ও মো. রেজাউল করিম (২৬)।
সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল-মইন বলেন, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নাদিম বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় বাবু তার সন্ত্রাসীদের নিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। নাদিম তার সহকর্মীসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাবুর সন্ত্রাসীরা তাকে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে পিছন থেকে দৌঁড় দিয়ে বাবুর আরো কয়েকজন লোক এসে তাকে মারতে মারতে পাশের একটি অন্ধকার গলিতে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় এবং এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। ওই সময় প্রধান অভিযুক্ত বাবু ঘটনাস্থলের নিকটে থেকে পুরো ঘটনার নেতৃত্ব দেন। নাদিমের সহকর্মী তাকে বাঁচাতে গেলে বাবুর সন্ত্রাসীরা তাকেও মারধর করে। একপর্যায়ে ভিকটিম নাদিমের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে বাবু ও তার সন্ত্রাসী গ্রুপ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়

র‌্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পর থেকেই বাবু গ্রেপ্তার এড়াতে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে তার দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে জামালপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

খন্দকার আল মইন বলেন, সাংবাদিক নাদিম হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অভিযুক্ত বাবুর ছেলে ফাহিম ফয়সাল রিফাত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চেয়ারম্যান বাবু জানিয়েছে, ঘটনার সময় ছেলে রিফাতও ছিল। তবে তাকে গ্রেপ্তারের আগে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত রেজাউল, মনির এবং জাকির মাহমুদুল হাসান বাবুর সন্ত্রাসী গ্রুপের অন্যতম সহযোগী। ঘটনার সময় রেজাউল দৌঁড়ে গিয়ে নাদিমকে ধাক্কা দিয়ে মোটরসাইকেল থেকে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলেই বাবুর নির্দেশে তারা নাদিমকে বেদম প্রহার করতে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে জামালপুরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।ফেসবুক লাইভে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। এরপরও তাকে মরতে হলো, এমন তথ্যের ভিত্তিতে কমান্ডার মঈন বলেন, ভুক্তভোগী সাংবাদিক ফেসবুকে লাইভ করেছেন, নিরাপত্তা চেয়েছেন। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ভাল বলতে পারবেন। তবে তিনি আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি। তিনি যদি অভিযোগ করতেন তাহলে আমাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার সুযোগ ছিল।

এদিকে এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম মাহমুদুল আলম বাবুসহ ২২ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে।

 

LN24BD

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments