বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট।
সোমবার (১২ জুন) রাত ৯টায় বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র থেকে এ ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
বরিশালে মোট ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। প্রায় দ্বিগুনেরও বেশি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ।
এদিকে জাতীয় পার্টি মনোনীত লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস পেয়েছেন ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন টেবিল ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৯৯ ভোট।
জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু গোলাপ ফুল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৫৪৬ ভোট।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী হোসেন হাওলাদার হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট এবং আসাদুজ্জামান হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৫২৯ ভোট।
রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, বরিশালে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। সরকারি বিধি মোতাবেক প্রজ্ঞাপন জারি করে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট শুরু হলেও সোয়া ৯টার দিকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। সকাল ১০টার দিকে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা নৌকার ভোটার ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে ঢুকতে দিচ্ছে না।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তার ওপর হামলা ও বাধা প্রদানের। সেখানে অভিযোগ দিয়ে ২২ নং ওয়ার্ডে সাবেরা খাতুন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলা করা হয়। আহত অবস্থায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দেন। পরে সন্ধ্যায় ইসলামী আন্দোলন নির্বাচনের সকল ফলাফল প্রত্যাখান করে।