পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ কমানোর মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) পরিবেশ অধিদপ্তর মিলনায়তনে আয়োজিত বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও পরিবেশ মেলা-২০২২ এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দূষণমুক্ত পরিবেশ উপহার দিতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের দায়িত্বশীল হয়ে কঠোরভাবে কাজ করতে হবে। এজন্য মন্ত্রী জনগণের সহযোগিতাও কামনা করেন। নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি করে গাছ লাগাতে তিনি দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, পানিদূষণ, বায়ুদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ হ্রাসের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে মনিটরিং এবং এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বায়ুদূষণ রোধে নির্দেশিকা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পোড়ানো ইটের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব ব্লক ইটের ব্যবহার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। দেশব্যাপী প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্যে ইতোমধ্যে ১০ বছর মেয়াদী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধে ৩ বছর মেয়াদী বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণে পাহাড়, টিলা কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ই-বর্জ্য ও চিকিৎসা বর্জ্য নিয়ন্ত্রণে বিধিমালা করা হয়েছে। তরল বর্জ্য নির্গমণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে তরল বর্জ্য পরিশোধন ব্যবস্থাপনা ও জিরো ডিসচার্জ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধ্য করা হচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দেশব্যাপী ব্যাপকহারে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় গৃহীত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, পরিবেশের মান উন্নয়ন ও বৃক্ষরোপণে সফলতা লাভ করতে সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ একান্ত কাম্য।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, গ্লোবাল সেন্টার অন এডাপটেশনের বিশিষ্ট ফেলো আবুল কালাম আজাদ এবং পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ডক্টর কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২২ উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক ও শ্লোগান প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং পরিবেশ মেলায় অংশগ্রহণকারী শ্রেষ্ঠ স্টলের প্রতিনিধিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।