এ পরিস্থিতিতেই আমেরিকার বিমানবাহিনী জানিয়েছে, এবার চাঁদের কাছাকাছি এলাকা থেকে পৃথিবীর ওপর নজরদারি চালানো হবে। এ বিষয়ে একটি ভিডিও বিবৃতিও প্রকাশ করা হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এ বার চাঁদের আরও কাছাকাছি এলাকা (মহাকাশবিজ্ঞানের পরিভাষায়, ‘সিসলুনার অরবিট’) থেকে নজরদারি চালানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে এই নজরদারির আওতায় আমেরিকা তো বটেই, বিশ্বের অন্যান্য দেশও থাকবে।
মার্কিন বিমানবাহিনী জানায়, পৃথিবীর কক্ষপথে থাকা অন্যান্য দেশের উপগ্রহগুলি আমেরিকার ওপর কী ভাবে কতটা নজর রাখছে, সেটাও তাদের নজরদারিতে আসবে। আর এর দায়িত্বে থাকবে আমেরিকার সেনাবাহিনীর নবগঠিত শাখা— ‘স্পেস ফোর্স’।
আমেরিকার বিমানবাহিনীর এয়ারফোর্স রিসার্চ ল্যাবরেটরির (এএফআরএল) ওই ভিডিও টি গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, ‘এখনো পর্যন্ত নজরদারির কাজ আমেরিকার সেনাবাহিনী চালায় ভূপৃষ্ঠের ওপরে ২২ হাজার মাইল (ব৩৫ হাজার কিলোমিটার) পর্যন্ত। যেখানে থাকে সব দেশেরই জিওস্টেশনারি উপগ্রহগুলি। এ বার মহাকাশ থেকে নজরদারির পাল্লা ১০ গুণ বাড়ানো হচ্ছে। যাতে অন্তত এক হাজার গুণ বেশি দূরত্ব পর্যন্ত আমেরিকার সেনাবাহিনীর নজরদারি পৌঁছে যেতে পারে। যা আসলে চাঁদ পর্যন্ত।’
আমেরিকার বিমানবাহিনীর রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে ওই প্রকল্পের অধিকর্তা ব্রায়ান উইডেন বলেছেন, ‘প্রথমে জানার চেষ্টা হবে, চাঁদের আরও কাছাকাছি ওই এলাকা জুড়ে কোন কোন দেশের তৎপরতা কেমন। তার পর খতিয়ে দেখা হবে ওই এলাকায় অন্য দেশগুলির কাজকর্ম, গবেষণা আমেরিকার নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কি না, হলে তা কী কী ভাবে হচ্ছে।’