বিএনপি তাদের জীবদ্দশায় ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
শনিবার চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত তৃণমূল প্রতিনিধি সভা উদ্বোধন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ সংশয়ের কথা জানান।
হানিফ বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপির নির্বাচনে জয়লাভ করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে তারা জনগণের কাছ থেকে আবারও ধিক্কৃত হবেন। কারণ, তারা দেশ ও জনগণের জন্য এমন কোনো কাজ করেনি যে জনগণ তাদের প্রতি আস্থাশীল হবেন।
তিনি বলেন, অতীতের কুকর্ম, সন্ত্রাস, নাশকতামূলক কার্যক্রমের জন্য জনগণের থেকে এতটাই দূরে সরে গেছে যে, আগামী নির্বাচনতো দূরের কথা, তাদের জীবদ্দশায় বিএনপি আর ক্ষমতায় আসতে পারবে কি না তা নিয়ে জনগণ ভাবছে না।
দলীয় সরকারের অধীনে বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করা বিষয়ে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটদান করে তাদের পছন্দের দলকে বিজয়ী করুক।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে এ রায় ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশে আর কখনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হবে না। যদি কোনো গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে, সেটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের মধ্যে পরে।
হানিফ বলেন, যারা দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় অবমাননা করে তাদের মনগড়া সরকার দেখতে চায়, সেটা আর হবে না। বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না।
তিনি বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম আলমগীর (বিএনপি মহাসচিব) বর্তমান একটি কথা বলছেন- আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ৩০টি আসন পাবে না। কিন্তু আমি বলতে চাই- এই কথাটি ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে বেগম খালেদা জিয়া একাধিক জনসভায়ও বলেছিল। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস ২০০৮ সালের নির্বাচনে ওই বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু ৩০ এর নিচে আসন পেয়েছিল।’
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম প্রমুখ।