আফগান স্কুলগুলি শনিবার থেকে শুধু ছেলেদের জন্য খোলা হয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে শুধু ছেলেদের স্কুলগুলি খুলে দেওয়ার আদেশ দেয় তালেবান। মেয়েরা কখন তাদের ক্লাসে ফিরে যেতে পারবে তার কোন ইঙ্গিত ছিল না সেই বিবৃতিতে।
রাজধানী কাবুল দখল করে নেওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পরে এসেও বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, কারণ তালেবানরা অর্থনীতি পুনরায় চালু করতে এবং শহরগুলিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে সংগ্রাম করেছে।
এর আগে যেসব স্কুল তাদের কার্যক্রম শুরু করতে পেরেছে সেসব স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েরা উপস্থিত হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরাও ক্লাসে গেছে। কিন্তু মেয়েদের উচ্চ বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে।
তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে তারা পূর্ববর্তী তালেবান সরকারের মৌলবাদী নীতির পুনরাবৃত্তি করবেন না। যেই নীতিতে মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এবং তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মেয়েরা যত দিন আলাদা শ্রেণিকক্ষে পড়বে তত দিন তারা পড়াশোনা করতে পারবে।
তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর স্কুল বন্ধ করার কোনো নির্দেশ দেয়নি। তবে তালেবানরা বলেছে যে, নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে নারী ও মেয়েদের জন্য অনেক কার্যক্রম এখনো সম্ভব ছিল না। এবং সর্বশেষ বিবৃতিতে মেয়েদের ব্যাপারে কোনো কথা বলা হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সরকারি ও বেসরকারি স্কুল এবং সরকারি মাদ্রাসা ধর্মীয় স্কুল শনিবার থেকে খোলা থাকবে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সকল পুরুষ শিক্ষক এবং ছেলে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া উচিত’।
তালেবান শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার থেকে ৭ম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছেলেদের জন্য মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শুরু হবে।
অনেকের আশঙ্কা, তালেবানের এই সিদ্ধান্ত তাদের ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদের শাসনামলে তারা যে কৌশল অবলম্বন করেছিল তারই প্রতিধ্বনি মনে হচ্ছে। সেসময় তারা কোনো আনুষ্ঠানিক নিষেধাজ্ঞা জারি না করেই মেয়েদের হাইস্কুলে যাওয়া বন্ধ করেছিল।