কোভ্যাক্সের আওতায় বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের টিকার বড় একটি চালান পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, দেশে যে পরিমাণ টিকা এসেছে এবং আরও যা আসার অপেক্ষায় রয়েছে সব মিলিয়ে ২৪ কোটি টিকা লাইনে রয়েছে।
বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিবিসিসিআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা কোভাক্সের মাধ্যমে বড় একটা লট পাব। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যখন বলবে তখনই ওরা দেবে। এটা কোভ্যাক্সের আওতায় আর সিনোফার্ম বিক্রি করেছে সেটা থেকে পাওয়া যাবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দরকার ২৬ কোটি টিকা। আমরা ২৪ কোটি পাচ্ছি, আপাতত আমরা এটাতেই খুশি। এটা আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলের মধ্যে আসবে। যেহেতু আমরা টিকা লোকালি প্রডিউস করব আপাতত আমরা ২৪ কোটিতেই খুশি। আমরা আশা করি, এর মধ্যে আমাদের অধিকাংশ লোককে টিকার আওতায় আনতে পারব।’
রাশিয়ার সঙ্গে টিকা নিয়ে কোনো অগ্রগতি হয়েছে কি না, প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘কোনো অগ্রগতি হয়নি।’
ব্রিটিনের ‘রেড লিস্ট’ নিয়ে মন্ত্রীর অসন্তোষ
করোনাভাইরাসের টিকার এক ডোজ না নেওয়া সত্ত্বেও ব্রিটেন অন্য দেশের নাগরিকদের দেশটিতে আশ্রয় দিচ্ছে, অথচ বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য দেশটিতে প্রবেশে রেড লিস্ট রাখার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. মোমেন বলেন, ‘যারা এক ডোজ টিকাও নেয়নি তাদের তোমাদের দেশে আশ্রয় দিয়ে রেখেছ। আমাদের এখানে তোমাদের (ব্রিটিশ) যে নাগরিক আছে তাদেরকে যেতে দাও। ভারতকে তারা রেড অ্যালার্ট করেনি, তাদের লোক মারা গেছে বেশি; সে অনুযায়ী আমাদের কম। আমাদের দেশে আফ্রিকান কোনো ভেরিয়েন্ট নেই। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়টা রিপোর্টে বলা উচিত।’
রেড অ্যালার্টের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বিরোধী কোনো শক্তি আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘এটা আমি বলতে পারব না।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের উচ্চ হার বিবেচনায় নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বাংলাদেশকে রেড লিস্টে অন্তর্ভুক্ত করে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশসহ যেসব দেশ ব্রিটেন ভ্রমণের রেড লিস্টে রয়েছে, সেসব দেশ থেকে ব্রিটিশ নাগরিকরা দেশটিতে ঢুকতে পারলেও থাকতে হচ্ছে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক হোটেল কোয়ারেন্টাইনে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্রিটেনে ঢাকা ও লন্ডনের মধ্যে চতুর্থ স্ট্র্যাটেজিক ডায়ালগ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে রেড লিস্ট থেকে বাংলাদেশের নাম সরানোর বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য ব্রিটেনকে অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।