মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে চলেছে হাইতিতে। গত শনিবার হওয়া শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯৪১ জন মারা গেছে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। যা আগের সংখ্যার চেয়ে ৫০০ বেশি।
দেশটিতে ৭.২ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্পে ১০ হাজারের কাছাকাছি লোক আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আরও অনেক লোক নিখোঁজ রয়েছেন।
তার মধ্যে সপ্তাহজুড়ে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, প্রায় ৫ লাখ শিশু আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছে হাইতিতে। নেই নিরাপদ পানি ও খাবার।
হাইতিতে নিযুক্ত জাতিসংঘ চিলড্রেন’স ফান্ডের (ইউনিসেফ) প্রতিনিধি ব্রুনো মায়েস বলেন, ‘ভূমিকম্পের কারণে অগণিত হাইতিয়ান পরিবার সবকিছু হারিয়ে এখন এক প্রকার বন্যার মধ্যে জীবনযাপন করছে।’
হাইতিতে ভূমিকম্পের ফলে হাজার হাজার লোক গৃহহীন অবস্থায় জীবন কাটাচ্ছে। এসব লোকদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল, তারা ঝড়ের মধ্যে তুচ্ছ তেরপোলের নিচে থাকার ঝুঁকি নেবে নাকি তীব্র ভূমিকম্পে ফাটল দেখা দেওয়া ভবনে ফিরে যাবে।
গত কয়েক বছর ধরে হাইতিতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা নিয়মিত দেখা দিচ্ছে। তার মধ্যে আছে ২০১৬ সালের হারিকেন ম্যাথিউ।
২০১০ সালে মারাত্মক ভূমিকম্পে প্রায় ২ লাখের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছিল দেশটিতে। এর ফলে হাইতির অবকাঠামো ও অর্থনীতি খুব ক্ষতিগ্রস্থ হয়।