Friday, July 4, 2025
HomeScrollingআফগানিস্তানের একটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে

আফগানিস্তানের একটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে

অনলাইন ডেস্ক।।

সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এই প্রথম আফগানিস্তানের একটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের দখলে গেল।

দুটি সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শুক্রবার বিকেলে বিদ্রোহীরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে নেয়।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের পর হতে তালেবান সেখানে বেশ দ্রুতগতিতে বিভিন্ন এলাকা দখল করতে শুরু করে। তার মধ্যেই তারা প্রথম কোন প্রাদেশিক রাজধানী দখল করলো।

যারানজ রান সীমান্তের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক বাণিজ্য কেন্দ্র। এই শহরের চারদিকের এলাকা দখল করে নেওয়ার পর তালেবান যারানজ দখলের জন্য অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।

তালেবান এরই মধ্যে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ গ্রামীণ এলাকা দখল করে নিয়েছে। এখন তারা বড় বড় শহর টার্গেট করছে।

আরও দুটি প্রাদেশিক রাজধানী তালেবানের হামলার মুখে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে। এর একটি পশ্চিমের হেরাত এবং অপরটি দক্ষিণের লস্কর গাহ।

শুক্রবার কাবুলে আফগান সরকারের মিডিয়া এবং তথ্য কেন্দ্রের প্রধান বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। দাওয়া খান মেনাপালের আততায়ীর হাতে নিহত হওয়ার খবর আফগান পুলিশ স্বীকার করেছে।

তিনি প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র হিসেবেও কাজ করেছেন।

তালেবান বলেছে তারা এই হামলা চালিয়েছে। সাম্প্রতিক কয়েক মাসে গুরুত্বপূর্ণ যেসব ব্যক্তি আততায়ীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি তাদের একজন।

তিনি নিয়মিত আফগান সরকারের অবস্থান জানিয়ে টুইট করতেন এবং টুইটারে তার অনুসারী ছিল এক লাখ ৪২ হাজার।

তালেবানের মুখপাত্র যাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইট বার্তায় বলেছেন তারা দাওয়া খান মেনাপালকে হত্যা করেছে।

মেনাপাল ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি রেডিও আযাদীতে সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতেন।

মাত্র দু’দিন আগে বুধবার তালেবান কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল, যেটি ছিল প্রায় এক বছরের মধ্যে কাবুলে তালেবানের চালানো বড় ধরনের আক্রমণ। তালেবান তখন সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর আরও হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছিল।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments