আফগান সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ নগরী লস্করগাহ তালেবান মুক্ত করার অভিযানের অংশ হিসেবে বাসিন্দাদের শহরটি ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার ব্যাপক পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করায় বাসিন্দাদের দ্রুত তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে। খবর এএফপি’র।
হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী দুই লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত নগরী লস্করগাহতে যুদ্ধে ইতোমধ্যে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছে।
আর এই লড়াইয়ে সরকারি বাহিনী পিছু হটলে সেটা হবে মে মাসে দেশব্যাপী তালেবান যুদ্ধ শুরু করার পর থেকে তাদের সবচেয়ে বড় শহর বিজয়।
তালেবান ইতোমধ্যে গ্রামাঞ্চলের বিস্তৃত এলাকা এবং সীমান্তবর্তী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করে নেওয়ায় আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তির ঘাটতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে তালেবান এসব এলাকা দখল করে।
তালেবান জঙ্গিদের এখন প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে বিভিন্ন নগরীর কেন্দ্রস্থানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়া।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশের রাজধানী লস্করগাহ হাতছাড়া হবে সরকারের জন্য প্রচণ্ড কৌশলগত ও মনস্তাত্ত্বিক আঘাত।
মঙ্গলবার আফগান বাহিনীর ব্যাপক পাল্টা অভিযান অনেকটা ঝিমিয়ে পড়ায় তালেবান নগরী কিছু বেতার ও টেলিভিশন কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেছে। তারা লোকজনের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে ২১৫ মাইওয়ান্দ আফগান আর্মি কর্পস’র কমান্ডার জেনারেল সামি সাদাত নগরীর জনগণের উদ্দেশে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, ‘অনুগ্রহ করে যত দ্রুত সম্ভব আপনারা আপনাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যান যাতে আমরা তালেবানের বিরুদ্ধে আমাদের জোরদার অভিযান শুরু করতে পারি।’
এদিকে মঙ্গলবার রাতে রাজধানী কাবুলে ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিসমিল্লাহ খান মোহাম্মাদি ও আইনপ্রণেতাদের বাসভবন লক্ষ্য করে ব্যাপক বোমা ও বন্দুক হামলা চালায় তালেবান। এতে কমপক্ষে চারজন নিহত ও ১০ জন আহত হয়।
তবে হামলার সময় বাসভবনে ছিলেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তার পরিবারের সদস্যরাও অক্ষত রয়েছেন।
আফগানিস্তানের বিভিন্ন শহরে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তালেবান যোদ্ধাদের চলমান তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে প্রাদেশিক রাজধানী হেরাত, কান্দাহার ও লস্করগাহ (হেলমান্দ) নিয়ন্ত্রণে তুমুল লড়াই চলছে।