করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ‘সালাম সালাম হাজার সালাম’ গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
রবিবার ভোর ৪টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।
ফজল-এ-খোদার ছেলে সজীব ওনাসিস রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় দেশ রূপান্তরকে মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ফজল-এ-খোদা। গত মঙ্গলবার করোনা পজিটিভ আসার পর বাসায় থেকে দু’দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার স্ত্রী মাহমুদা সুলতানা এবং বড় ছেলেও করোনা আক্রান্ত।
ফজল-এ-খোদার মেজো ছেলে সজীব দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমার বড় ভাই করোনা আক্রান্ত হন। পরে আমার বাবা-মাও আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর আসার পর বাবা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে তাকে বৃহস্পতিবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।’
তিনি জানান, রবিবার সকাল ১১টার দিকে রায়েরবাজার কবরস্থানে তার বাবাকে দাফন করা হবে। এর আগে কবরস্থান মসজিদেই জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বহু কালজয়ী গানের গীতিকার ফজল-এ-খোদা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ‘যে দেশেতে শাপলা শালুক ঝিলের জলে ভাসে’, ‘ভালোবাসার মূল্য কতো, আমি কিছু জানি না’, ‘কলসি কাঁধে ঘাটে যায় কোন রূপসী’, ‘বাসন্তী রং শাড়ি পরে কোন রমণী চলে যায়’, ‘আমি প্রদীপের মতো রাত জেগে জেগে’, ‘ভাবনা আমার আহত পাখির মতো’, ‘প্রেমের এক নাম জীবন’, ‘বউ কথা কও পাখির ডাকে ঘুম ভাঙেরে’, ‘খোকন মণি রাগ করে না’।
১৯৬৩ সালে তিনি বেতারে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরের বছর ১৯৬৪ সালে টেলিভিশনে গীতিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
ছড়াকার হিসেবে লেখালেখি শুরু করেছিলেন ফজল-এ-খোদা। দেশাত্মবোধক, আধুনিক, লোকসংগীত এবং ইসলামী গান লিখে তিনি প্রশংসা কুড়িয়েছেন।
ঢাকা বেতারের সাবেক এই আঞ্চলিক পরিচালক শিশু-কিশোরদের সংগঠন শাপলা-শালুকের আসরের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
ফজল-এ-খোদা ১৯৪১ সালের ৯ মার্চ পাবনা জেলার বেড়া থানার বনগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।