বিবিসি জানিয়েছে, ৪৯ বছর বয়সী নারগেস মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে প্রচারণা চালিয়েছেন। একই সঙ্গে ইরানে মানবাধিকার সংগঠন প্রতিষ্ঠা করে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ করতেন। ২০১৫ সালের মে মাসে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইরান সরকারের দাবি, দেশের বিরুদ্ধে বহির্বিশ্বে তিনি প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছেন, দেশ বিরোধী কাজ করছেন।
আগে তার ১০ বছরের জেল হেফাজতের শাস্তি হয়েছিল। তবে আট বছরের মাথায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
নারগেসের শাস্তি ঘোষণা হওয়ার পরেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার। অবিলম্বে নারগেসের উপর থেকে সব অভিযোগ তুলে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে তারা। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নও একই দাবি করেছে।
ইরান সরকারের কাছে তাদের দাবি, নারগেসের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো পুনর্বিবেচনা করা হোক।
এবারও দেশের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নারগেস শুধু মানবাধিকারকর্মী নন। তিনি ইঞ্জিনিয়ার, পদার্থবিজ্ঞানের গবেষক। তার দুই সন্তান আছে। নোবেল বিজয়ী শিরিন এবাদির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।