দলীয় শতরানে পা রাখার আগে টপ-অর্ডারের চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে বাংলাদেশ। দুষ্মন্ত চামিরার তৃতীয় শিকার হিসেবে অধিনায়ক-ওপেনার তামিম ইকবালের (১৭) বিতর্কিত আউটের পর ঢাল হয়ে থাকা উইকেটরক্ষক মুশফিকুর রহিমও (২৮) পারলেন না বড় ইনিংস খেলতে।
এর আগে লিটন দাসের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম (১)। চামিরার করা দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই কুশল মেন্ডিসের হাতে বন্দী হন তিনি।
নাঈমের বিদায়ের পর চামিরার দ্বিতীয় শিকার হিসেবে বাংলাদেশকে বিপদে ফেলে সাজঘরে ফেরেন সাকিব আল হাসানও (৪)। পুরো সিরিজে ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে বল হাতেও উইকেটের দেখা পাননি।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৯৯ রান করেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে আছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (৩৮) ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৫)। জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার আরও ১৮৮ রান। এর আগে অধিনায়ক-ওপেনার কুশল পেরেরার সেঞ্চুরিতে টসে জিতে ৬ উইকেটে ২৮৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।
সিরিজ নিশ্চিত হয়েছে আগেই। হয়েছে ইতিহাসও। এবার লক্ষ্য শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ দেওয়া। তবে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে মরিয়া লঙ্কানরা বড় পুঁজি দাঁড় করিয়েছে টাইগারদের সামনে।
তিন অভিষিক্তকে নিয়ে মাঠে নামা শ্রীলঙ্কা টসে জিতে ব্যাটিংয়ে শুরুটা দুর্দান্ত করে। ওপেনিং জুটিতেই তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ৮২ রান। এরপর তাসকিন আহমেদের ব্যাক-থ্রু। ওপেনার দানুশকা গুনাতিলাকাকে (৩৯) বোল্ড করার পর একই ওভারে তিনি ডাক উপহার দেন পাথুম নিশানকাকে। এরপর কুশল মেন্ডিসকে (২২) নিজের তৃতীয় শিকার বানান তাসকিন।
সতীর্থদের ফিরলেও ‘ভাগ্যের সহায়তায়’ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন অধিনায়ক-ওপেনার পেরেরা। তিন অঙ্কের ঘরে পা রাখতে গিয়ে তিনবার জীবন পেয়েছেন তিনি। তার মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমানের করা ৩১.৫ ওভারে ৯৯ রানেও জীবন পান পেরেরা। শেষ পর্যন্ত লঙ্কান ওপেনারকে ফেরান শরিফুল ইসলাম। মাহমুদউল্লাহর হাতে বন্দী হওয়ার আগে ১২২ বলে ১২ চার ও ১ ছয়ে ১২০ রান করেছেন লঙ্কান ওপেনার। এরপর উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকভেলাকেও (৭) রান-আউট করেন শরিফুল।
তাসকিন চতুর্থ শিকার হিসেবে তুলে নেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাকে (৭)। শেষদিকে দারুণ ব্যাটিংয়ে লঙ্কানদের লড়াকু পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৭০ বলে ৪ চারে ৫৫ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। তাকে সঙ্গ দেন রমেশ মেন্ডিস (৮)।