রবিবার ভোর থেকে ঘাটে যাত্রীদের চাপ যা ছিল বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বেড়ে যায়।
ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় একটু বেশি হলেও দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার হাজার হাজার মানুষ এখনো ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফিরছে।
বাংলাবাজার থেকে ফেরিতে জরুরি পরিবহনসহ কর্মস্থলমুখী যাত্রী নিয়েই ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।
এছাড়া যারা ঈদের আগে বাড়ি ফিরতে পারেননি, তারা এখন বাড়ি ফিরছেন। বাড়ি ফেরাদের সংখ্যা এখনো অনেক বেশি। প্রত্যেকটি ফেরিতেই প্রচুর যাত্রী রয়েছে। একইসঙ্গে হালকা যানবাহনও রয়েছে ফেরিতে।
লকডাউন ও সরকারি বিধিনিষেধের কারণে আন্তঃজেলা বাস, যাত্রীবাহী লঞ্চ, স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ঈদের আগে বাড়ি ফেরা নিয়ে ফেরিতে ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। ঘটেছে দুর্ঘটনাও।
ঘাট সূত্রে জানা যায়, সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা অব্যাহত রয়েছে। ফেরিঘাটের সবগুলো ঘাট চালু থাকায় শিমুলিয়া থেকে একযোগে তিন/চারটি ফেরি যাত্রী ও হালকা যানবাহন নিয়ে বাংলাবাজার ঘাটে আসছে।
বাংলাবাজার ঘাটে যাত্রী নামিয়ে দিয়েই সঙ্গে সঙ্গে পরিবহন ও ঢাকামুখী যাত্রীদের নিয়ে ফেরিগুলো শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছুটে যাচ্ছে। ঢাকায় ফেরার চাপ গতকালের চেয়ে অনেক বেশি।
দিনাজপুর থেকে আসা যাত্রী রহমত বলেন, ঈদের আগে বাড়িতে আসিনি। এখন আসলাম বাবা-মা নিজ পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতে।
শাহআলম নামে এক যাত্রী বলেন, আমি একা একা ঢাকায় ঈদ পালন করেছি। ভেবেছিলাম ঈদের পরে খুব সহজে বাড়ি আসতে পারবো; কিন্তু এখনো প্রচুর ভিড়।
ঢাকামুখী বেসরকারি চাকরিজীবী ইসমাইল বলেন, ভোরে বাংলাবাজার ঘাটে এসেছি। ভেবেছিলাম এত ভোরে তেমন ভিড় হবে না। কিন্তু অনেক ভিড়। এর মধ্যেই ঢাকা যেতে হবে। এরপর কুমিল্লা হয়ে চট্টগ্রাম। কারণ, আজ যেতে না পারলে কাল আমার চাকরি থাকবে না।
ঢাকামুখী আরেক যাত্রী সুন্দর আলী বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকরি করি। তাই আজ কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছি। তবে ফেরিতে যাত্রী আগের মতো গাদাগাদি করে তুলছে না; এটা ভালো।
মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের সহকারী অফিসার মাহাতাব হোসেন বলেন, সকাল থেকে বাংলাবাজার ঘাটে উপচে পড়া ভিড়। আমার আগে থেকেই প্রস্তুত আছি কোনো দুর্ঘটনা হলে সেটা পরিস্থিতি অনুযায়ী মোকাবিলা করার জন্য।
মাদারীপুর বাংলাবাজার ফেরিঘাটের (বিআইডব্লিউটিসি) ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঘরমুখো যাত্রীদের পাশাপাশি ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ আজ বেশি। তাই আমরা সব ফেরি সচল রেখেছি।