বিশেষ প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরের কালকিনিতে পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মো. সাইদুর রহমান ১৫ জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কালকিনি পৌরসভার নির্বাচন গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় । শুক্রবার ২রা এপ্রিল পৌরসভার ঠ্যাঙ্গামারা এলাকায় নৌকা প্রতিকের জয়ী প্রার্থী এসএম হানিফের সমর্থকদের মধ্যে পরজিত বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনার সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়। এ সময় পুলিশের গাড়ী ভাংচুর করা হয়। উভয়পক্ষের সমর্থকরা একাধিক হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি ককটেলসহ বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে কালকিনি থানার এসআই সৈয়দ হাসিব আহম্মদ বাদী হয়ে ৬৩ জনের নামের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরো একশ থেকে দেড়শ’ জন আসামি করা হয়। মামলার পরে শনিবার সকালে কালকিনির বিভিন্ন স্থানে অভিযান ১৫ জনকে গ্রেফতার করে পুুলিশ।
এব্যাপারে পরজিত বিদ্রোহী প্রার্থী সোহেল রানা মিঠুর সাথে যোগযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।’
কালকিনি থানার এসআই সৈয়দ হাসিব আহম্মদ জানান, ২ এপ্রিল দুই গুরুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয় আমরা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিতে গেলে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে আমাদের পুলিশের গাড়ী ভাংচুর করা হয় এবং আমাদের দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
মাদারীপুরের কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল জানান, পুলিশের উপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা প্রদান ও সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিকের জয়ী প্রার্থী এসএম হানিফ দেশরুপান্তরকে জানান, আমি এগুলোর পক্ষে না, এবং যেটা হয়েছে সেটা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য না। আমি পুলিশকে বলেছি যে বা যারা এই ঘটনা ঘটেছে সবাইকে গ্রেপ্তার করা হোক। কোন ছাড় নাই। এটা স্থানীয় রাজনীতি, এটা নৌকার নাম ভাঙ্গাচ্ছে। যে নৌকার নাম বলবে তাকেও গ্রেপ্তার করা হবে।’