সুনামগঞ্জের পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়কে নির্মাণাধীন কুন্দানালা সেতুর পাঁচটি গার্ডার ধসে পড়েছে। সেতুটির নির্মাণ ব্যয় ১৫ কোটি টাকা। রোববার রাত ৭টায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে। সেতুর পাশে বিকল্প সড়ক থাকায় যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সুনামগঞ্জের দূরত্ব কমাতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ডাবর পয়েন্ট থেকে পাগলা-জগন্নাথপুর-আউশকান্দি সড়ক হচ্ছে। এ সড়কের প্রশস্তকরণ এবং পুরোনো সেতু ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ছয় মাস আগে। সড়কের ছাতক উপজেলা অংশের কুন্দানালা খালের ওপর প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ ফুট ১২ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১০ ফুট ২৫ মিটার প্রস্থের সেতু নির্মাণের কাজ করছে ঢাকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড।
নির্মাণের সময় রোববার রাতে হঠাৎ পাঁচটি গার্ডার ভেঙে সেতুটি মাটিতে লুটায়। রাতে শ্রমিকরা কাজে না থাকায় হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ত্রুটি ও কাজে অনিয়ম না হলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটত না। এ দুর্ঘটনা যান চলাচল শুরু হওয়ার পরে ঘটলে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটত।
স্থানীয় একজন বাসিন্দা কামরুল ইসলাম জানান, উদ্বোধনের আগেই সেতুটি এভাবে ভেঙে পড়ায় স্থানীয়রা ভয় পেয়েছেন। কারণ অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
একই এলাকার বাসিন্দা রইছ উদ্দিন বলেন ‘সেতুটিতে নিম্নমানের রড আর বালুর কারণে এটা ধসে পড়েছে। ঠিকাদারদের গাফিলতি এ জন্য দায়ী।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বললেন, সেতুর ৮০ ভাগ কাজ শেষ, কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি। ১৬০ টন ওজনের গার্ডার বসানোর সময় হাইড্রোলিক পাইপ ফেটে যাওয়ায় ওজন নিতে পারেনি, একটার ওপর আরেকটা পড়ে সব ভেঙে গেছে।
সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, গার্ডারগুলো সরানোর সময় মেকানিক্যাল ত্রুটির কারণে হাইড্রোলিক পাইপ ফেটে যায়। কাজে অনিয়ম করার সুযোগ নেই। গার্ডারগুলো ভাঙনের দায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিংবা সরকার নেবে না। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকেই আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন করে গার্ডার নির্মাণ করে সেতুর কাজ শেষ করতে হবে।