Monday, April 29, 2024
HomeScrollingযুবরাজের ওপর কেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়

যুবরাজের ওপর কেন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নয়

সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ নয়, পুনরুদ্ধারে জোর দিচ্ছে জো বাইডেন প্রশাসন। তাই সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র।

আলজাজিরা জানায়, ওয়াশিংটনে এক সংবাদ সম্মেলনের এ কথা উল্লেখ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস।

সোমবারের ওই সংবাদ সম্মেলনে যুবরাজের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা না দেওয়ার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়।

প্রাইস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি আরবের সম্পর্ক ঠিক পথে রাখতে তারা কাজ করছেন।

তার মতে, বাইডেন প্রশাসন সম্পর্ক ছেদ নয়, পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজছে। যুবরাজের ওপর নিষেধাজ্ঞার নামে যদি ‘আরও নাটকীয়’ কোনো সিদ্ধান্ত নিতো, তা রিয়াদের ওপর মার্কিন প্রভাবকে গুরুতরভাবে খর্ব করতো।

বাইডেন প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ অনেকেই। বিশেষ করে ওয়াশিংটন পোস্টের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে, এই সংবাদমাধ্যমেই কলাম লিখতেন খাসোগি। এ হত্যাকাণ্ডের ‘মূল্য চুকানো’র যে প্রতিশ্রুতি বাইডেন দিয়েছিলেন তা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে লেখেন পত্রিকাটির প্রকাশক ফ্রেড রায়ান।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ৭৬ সৌদি নাগরিককে নো-ট্রাভেল তালিকায় রাখে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া খাসোগি হত্যার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আনে। তবে এতে যুবরাজের নাম ছিল না।

এ দিকে খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দারা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলেন তাতে হঠাৎ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, আপডেট প্রতিবেদনে আগের তিনটি নাম ‘রহস্যজনকভাবে’ বাদ দেওয়া হয়েছে।

যে তিন ব্যক্তির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে প্রথম জন হলেন আবদুল্লাহ মোহাম্মদ আল-হোয়ারিনি। খাসোগি হত্যায় আগে তার নাম আসেনি। তিনি সৌদি আরবের একজন ক্ষমতাধর মন্ত্রীর ভাই বলে জানা গেছে। অপর দুজন হলেন ইয়াসির খালিদ আলসালেম ও ইব্রাহিম আল-সালিম।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। প্রতিবেদনে বলা হয়, খাসোগি হত্যার অভিযানে সরাসরি অনুমোদন দিয়েছিলেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।

পরে কোনো ব্যাখ্যা ছাড়াই প্রথম প্রকাশ করা প্রতিবেদনটি সরিয়ে নেওয়া হয়। তার বদলে প্রতিবেদনটির আরেকটি সংস্করণ প্রকাশ করা হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, তারা খাসোগি হত্যায় অংশ নিয়েছিলেন বা আদেশ দিয়েছিলেন বা কোনো না কোনোভাবে জড়িত-দায়ী।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments