পলাশবাড়ী উপজেলার ৮নং মনোহরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব প্রধান রিপনের বিরুদ্ধে ভিডব্লিউবি’র অসংখ্য কার্ডধারী গরীব মহিলার কার্ড নিজের হেফাজতে রেখে ২১ মাসের ৩০ কেজি করে চাল তুলে আত্মসাতের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ।
অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিনে প্রকাশ,পলাশবাড়ী উপজেলার ৮নং মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন ভিডব্লিউবি এর গরীব সুবিধাভোগী মহিলাদের অসংখ্য কার্ড নিজের হেফাজতে রেখে ২১ মাসের ৩০ কেজি করে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন। এসব অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আব্দুল বারী মন্ডল ১১ই ডিসেম্বর বুধবার পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়,ওই ইউনিয়নের সীমা বেগম,পিতা শাজাহান গ্রামের নাম উল্লেখ নেই,ক্রমিক নং-৬,ওয়ার্ত নং-৯,মিনা বেগম,পিতা-রশিদুল,গ্রামের নাম উল্লেখ নেই, ক্রমিক নং*১১,বিলকিছ বেগম, পিতা-শহিদুল,গ্রামের নাম উল্লেখ নেই,ক্রমিক নং-১৩,সাদা রানী বেগম,পিতা-ভোলা প্রধান,গ্রামের নাম উল্লেখ নেই,ক্রমিক নং-৩৬,জান্নাতি বেগম, পিতা-আমিনুল ইসলাম,গ্রামের নাম উল্লেখ নেই,ক্রমিক নং-৮১,মৌসুমী খাতুন,পিতা-হাসান সরকার, গ্রাম-মনোহরপুর,ক্রমিক নং-১৫৪,মাহামুদা বেগম, পিতা-আমিনুল ইসলাম,গ্রাম-নিমদাসের ভিটা,ক্রমিক নং-১৮৮,হাসিনা বেগম,পিতা-সুজন মিয়া, গ্রাম-মনোহরপুর,ক্রমিক নং-২৩৬,মনজু বেগম, পিতা-আশিকুর,গ্রাম-নিমদাসের ভিটা,ক্রমিক নং-২৪৭,ফুলমতি,পিতা-গোপাল চন্দ্র, গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২৬০,বাবলী বেগম, পিতা-রাজু মিয়া,গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২৫৯, তাহেরা খাতুন,পিতা-শহিদুল,গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২৬৩,পরিফুল বেগম,পিতা-মুসা মিয়া, গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২৫৬,মিনারা বেগম, পিতা-রেজাউল করিম,গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২৫৯, খালেদা বেগম,পিতা-সুজা মিয়া,গ্রাম-কুমেদপুর,ক্রমিক নং-২১৯,কহিনুর বেগম,পিতা-আব্দুল ওয়াদুদ, গ্রাম-মনোহরপুর,ক্রমিক নং-২২৯,কহিনুর, পিতা-মজিদুল হক,গ্রাম-মনোহরপুর,ক্রমিক নং-২৪০, সাহিনা বেগম,পিতা-সায়দার রহমান,গ্রাম-কুমেদপুর এইসব সুবিধাভোগী দুস্থ মহিলাদের ভিডব্লিউবি এর কর্ডগুলো চেয়ারম্যান নিজের হেফাজতে রেখে দীর্ঘ ২১ মাস যাবৎ ৩০ কেজি হারে চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া,ওই ইউনিয়নের খামার বালুয়া গ্রামের ভোলা প্রধানের স্ত্রী সায়বানী বেগম ও একই গ্রামের হায়দার রহমানের স্ত্রী শরিফা বেগমের কার্ড দুটির চাল তুলে আত্মসাৎ করেছেন ওই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান। বিষয়টি ভুক্তভোগীরা জানতে পেরে,২২ মাসের চাল ও তাদের কার্ড ফেরতের জন্য একাধিকদিন চেয়ারম্যানের নিকট ধর্না দিলেও তাদের কার্ড হয়নি বলে তাদের ফেরত পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ভুক্তভোগীদের চাপে এবং অবস্থা বেগতিক দেখে অবশেষে দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান গত বুধবার তার নিজস্ব লোকের মাধ্যমে কার্ড দুটি তাদের বাড়ি পৌছে দেন।
আর এসব দুর্নীতি করতে চেয়ারম্যান তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলাম ও সহোদর ভাই ইমরুল কবির ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহজাহান আলী চৌধুরী মাধ্যমে প্রতি মাসে চালগুলো তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। চলতি সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত ভিডব্লিউবি এর কার্ডধারীদের চাল বিতরণ করা হয়েছে মর্মে কার্ড গুলোতে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর রয়েছে।
এ ব্যাপারে পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান এর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে,গাইবান্ধা জেলা বিএনপির কর্মসংস্থান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সম্পাদক এবং পলাশবাড়ী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি মুকুল আহম্মেদ,৮নং মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ প্রধান,সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী প্রধান ও বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী শরিফুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ভুক্তভোগীরা এসব চালগুলো যাতে ফেরত পায় এবং অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওহাব প্রধান রিপন সহ জড়িত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সহ সঠিক বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব প্রধান রিপনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এসব দুর্নীতির সাথে জড়িত নন বলে জানান,তবে ভুক্তভোগী ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের সাথে চেয়ারম্যান আপস মিমাংসা করেছেন বলে জানান।।