মাহমুদুল হাসান মুক্তা,জামালপুর।
বিয়ের দাবিতে অনশনের একদিনের পর ওই নারী যুবলীগনেতার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মঙ্গলবার বিকেলে মেলান্দহ হাজরাবাড়ী পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি মুজিবুল হাসান শামীম হাজারীকে একমাত্র আসামী করে এই মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী ওই নারী।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে শামীম হাজারীর সাথে ওই নারীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। সম্পর্ক হওয়ার পর গত এপ্রিল মাসে বিয়ের কথা বলে জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড় জিন্নাহর নামে লোকের চারতলা বাসার নিচতলায় ভাড়া বাসায় নিয়ে দেয় ওই নারীকে। সেখানেই ওই নারী বসবাস করতো। মাঝে মধ্যে ওই ভাড়াটিয়া বাসায় গিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শামীম হাজারী তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতো। পরে বিয়ের জন্যে তাকে চাপ দেন ওই নারী। একপর্যায়ে ওই নারীর সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন শামীম হাজারী। বাধ্য হয়ে ওই নারী গত সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ওই নেতার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই নেতার স্বজনরা ওই নারীকে তিনতলা থেকে টেনে হিঁচড়ে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। মঙ্গলবার বিকালে ওই নারী জামালপুর সদর থানায় অভিযুক্ত মুজিবুল হাসানকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।
জামালপুর সদর থানার ওসি কাজী শাওনেওয়াজ বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে মুজিবুল হাসান শামীম হাজারীকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। ভিকটিমকে মেডিকেল করতে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে।
এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত মুজিবুল হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিপ করেন নাই।
LN24BD