আফগান সংবাদ সংস্থা খামা প্রেস সূত্রে খবর, সুইজারল্যান্ডে আফগান দূতবাস থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে ঘোষণা করা হয়েছে, সালেহ্-র নেতৃত্বে ঘোষিত নির্বাসিত সরকারই আফগানিস্তানের একমাত্র ‘বৈধ’ সরকার।
গত ১৫ আগস্ট কাবুল-পতনের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গনি। সেই সময় উত্তরের পাঞ্জশির উপত্যকায় গিয়ে নর্দার্ন অ্যালায়্যান্সের সঙ্গে জোট গড়ে তালেবানের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করেছিলেন সালেহ্। এ-ও ঘোষণা করেছিলেন যে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের অনুপস্থিতিতে তিনিই আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট। তার পর পাঞ্জশিরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তালেবান।
এবার সুইজারল্যান্ডের আফগান দূতাবাস থেকে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আফগানিস্তান বর্তমানে বহিরাগত শক্তির দখলে থাকলেও দেশের বৈধ সরকারকে উপড়ে ফেলতে পারবে না। এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে নিয়ম মেনে গনি সরকারের প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লা সালেহ্-ই নেতৃত্ব দেবেন। সমস্ত প্রশাসনিক, বিচার-বিভাগীয় এবং আইনি ক্ষমতা এই সরকারের হাতেই থাকবে’। আফগানিস্তানের ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের সমস্ত দূতাবাস এবং কনস্যুলেটে কাজকর্ম শুরু করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
যদিও সালেহ্ ছাড়া নতুন ঘোষিত সরকারে আর কারা কারা রয়েছেন, বিবৃতিতে তার কোনও উল্লেখ নেই। ঘোষণা করা হয়েছে, উত্তরের পাঞ্জশির উপত্যকায় আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে তালিবান-বিরোধী শক্তিকে সমর্থন করে নতুন সরকার।