Thursday, July 3, 2025
HomeScrollingটাইগ্রে অঞ্চলে একতরফা যুদ্ধবিরতি ইথিওপিয়া সরকারের

টাইগ্রে অঞ্চলে একতরফা যুদ্ধবিরতি ইথিওপিয়া সরকারের

অনলাইন ডেস্ক |

সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বিদ্রোহী বাহিনী টাইগ্রের অন্তবর্তী প্রশাসন দখলে নিয়েছে
ইথিওপিয়ার কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার সংঘাত কবলিত টাইগ্রে অঞ্চলে একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে।

টাইগ্রের রাজধানী মেকেলের রাস্তায় সরকার বিরোধী যোদ্ধাদের উপস্থিতির মধ্যে যুদ্ধবিরতির এ ঘোষণা দেওয়া হলো।

আফ্রিকার দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রায় আট মাস আগে সেখানকার নেতৃত্ব উৎখাতে সেনাবাহিনী পাঠান। সে থেকে ওই অঞ্চলে প্রবল সংঘাত চলে আসছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করে বলছে, টাইগ্রে অঞ্চলে সংঘাতের কারণে সাড়ে তিন লাখ লোক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

টাইগ্রে ডিফেন্স ফোর্সেস (টিডিএফ) হিসেবে নিজেদের দাবি করা বিদ্রোহীরা মেকেলেতে ঢুকে পড়ার পর সেখানকার বাসিন্দারা নেচে গেয়ে উল্লাস প্রকাশ করে। এ সময় স্থানীয় কর্মকর্তারা নগরী ছেড়ে পালিয়ে যান।

সরকারি সংবাদ মাধ্যমে সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ২৮ জুন থেকে শর্তহীন ও একতরফা যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হলো। যুদ্ধবিরতি বর্তমান কৃষি মৌসুম শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

তবে এ ঘোষণার প্রেক্ষিতে টিডিএফের কাছ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, তিনি আবি আহমেদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি আশা করছেন কার্যকর যুদ্ধবিরতির মধ্যদিয়ে শত্রুতার অবসান ঘটবে।

ইথিওপিয়ায় ব্রিটিশ দূতাবাস যুদ্ধবিরতিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছে।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আবি আহমেদ ২০১৮ সালে ক্ষমতা আসার পর ইথিওপিয়ার রাজনৈতিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটতে থাকে। প্রতিবেশী ইরিত্রিয়ার সঙ্গে দুই দশক ধরে চলা রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটে তারই হাত ধরে। এই কারণে ক্ষমতায় আসার মাত্র এক বছরের মাথায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পান তিনি।

প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারলেও নিজ দেশের স্বাধীনতাকামী অঞ্চল টাইগ্রেতে তিনি শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ হন। উল্টো টাইগ্রের স্বাধীনতাকামীদের দমনে গত নভেম্বরে সেখানে তিনি সেনাবাহিনী পাঠান। এরপর থেকেই শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সংঘাত।

উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ বলছে, ওই অঞ্চলের ৫০ লাখেরও বেশি মানুষের জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন আর সাড়ে তিন লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে রয়েছে।

এ দিকে সরকারি বাহিনীকে হটিয়ে বিদ্রোহী বাহিনী টাইগ্রের অন্তবর্তী প্রশাসন দখলে নিয়েছে বলে জানা গেছে। শহরটি বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মেকেলবাসী সরকারি বাহিনীর চলে যাওয়াকে উদযাপন করছেন বলেও জানা গেছে।

এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে যে অন্তবর্তী সরকার নিয়োগ দিয়েছিল তাদের সকলে শহর ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একজন মানবাধিকার কর্মকর্তা খবরটি নিশ্চিত করেছেন।

তবে প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদের দপ্তর থেকে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments