প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবেশ বিপর্যয় থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর পাশপাশি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বেশি বেশি গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজকে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে আমি নিজে বৃক্ষ রোপণ করলাম। সেই সঙ্গে দেশবাসীকে আহ্বান জানাবো, যার যেখানে যতটুকু জায়গা পান গাছ লাগান।’
তিনি বলেন, তিনটা করে গাছ লাগাতে পারলে সব থেকে ভালো হয়। আর সেটা যদি না পারেন অন্তত একটা করে পারলেও লাগাবেন। আমরা চাই, একটা ফলদ, একটা বনজ, একটা ভেষজ-এই তিন ধরনের গাছ লাগাবেন।
শেখ হাসিনা শনিবার সকালে গণভবনে একটি গাছের চারা রোপণ করে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ‘জাতীয় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি-২০২১’ এর উদ্বোধনকালে দেওয়া ভাষণে এসব বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায়, নিজের আর্থিক স্বচ্ছলতার ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে সব দিক থেকে যেটা সবচেয়ে বেশি উপযোগী সেটা হলো ব্যাপকভাবে বৃক্ষরোপণ করা।
গাছের যত্ন করার ওপর গুরুত্বারোপ করে সরকার প্রধান বলেন, আপনারা সকলে গাছ লাগাবেন এবং গাছের যত্ন করবেন। শুধু গাছ লাগালে হবে না, গাছ যাতে টিকে থাকে সে জন্য যত্ন করতে হবে। সেই গাছ একদিন ফল দেবে, কাঠ দেবে অথবা ওষুধ দেবে, আপনারা নানা ভাবে উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, আমাদের পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এই দেশ আমাদের। আজকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে, আমাদের সবুজ বাংলাকে আরো সবুজ করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। বাংলাদেশকে আমরা সোনার বাংলা হিসেবে গড়তে চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, আসুন আমরা সবাই মিলে ব্যাপকভাবে এ দেশে বৃক্ষরোপণ করি এবং আমাদের সোনার বাংলাকে আরো সবুজ বাংলা করি।
বনায়নে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। আমরা এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, বনায়নের ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সাফল্য। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি তার ফলে আজকে প্রায় ২২ ভাগ বনায়ন সৃষ্টি হয়েছে। তা ছাড়া, আমাদের পারিবারিকভাবে বাগান সৃষ্টি হচ্ছে। সবাই এখন সচেতন।
পরিবেশ, বন এবং জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার (সচিব) মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখায়াত মুন বাসসকে একথা জানান।
এ বছর মুজিববর্ষে দেশকে সবুজে শোভিত করে ফেলতে জাতীয় বৃক্ষরোপন অভিযানের মূল প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে-‘মুজিব বর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি।’