মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য একটু সহানুভূতি কি পেতে পারে না ও বন্ধু..। বাস্তবমুখী এ প্রখ্যাত গানটি যারা শুনেছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আপনার আমার সকলের একটু সাহায্য সহানুভূতিতে বাঁচতে পারে ছবির এই অবুঝ শিশুটির জীবন।
শিশুটির নাম- আজিয়া সুলতানা,বয়স ২ বৎসর ৭ মাস। তার বাবার নাম-আলম মিয়া, মায়ের নাম- লাবনী বেগম, গ্রাম- জালাগাড়ী দূর্গাপুর, ইউনিয়ন- ৫নং মহদীপুর, পোস্ট আমলাগাছী-৫৭৩০,উপজেলা- পলাশবাড়ী,জেলা-গাইবান্ধা।
শিশুটির বাবা পেশায় একজন কাঠ মিস্ত্রী। জমি জিরাত তো দুরের কথা,তাদের নিজস্ব থাকার বসতভিটাও নেই। তাদের অভাব অনটনের সংসার দিনে আনে দিনে খায়। তার উপরে ২ বছর ৭ মাস বয়সের শিশু আজিয়া সুলতানার জটিল কঠিন রোগে মস্তিস্ক (মাথা) বড় হচ্ছে। দিন দিন শিশুটির মাথা বড় হতেই চলেছে। জন্মের ৩ মাস পর হতে মাথাটি বড় হতে শুরু হয়। প্রকৃতির খেলা বুঝা বড় দায়। সন্তানের এমন অবস্থা দেখে গ্রাম বাসীর সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ৬ মাস বয়স চলাকালীন সময়ে রংপুরের ডাঃ হাসিনুজ্জামান তুহিন এর নিকট স্মরণাপন্ন হন। সে সময় চিকিৎসক মাথা সিটি স্ক্যান করে দেখে পরামর্শ দেন,পাশ্ববর্তী দেশ ভারত নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করলেই শিশুটি সম্পূর্ণরূপে সুস্থ্ হয়ে যাবে। এতে প্রায় ৫ থেকে ৭ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। এতগুলো টাকা সংগ্রহ করা দরিদ্র ভূমিহীন পিতা/মাতার পক্ষে কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
বর্তমানে শিশুটির মাথার ওজন ১০ কেজির অধিক। তাই এই গরীব অসহায় শিশুটির চিকিৎসার জন্য তার বাবা/মা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিত্তবান ব্যক্তি,প্রবাসী ব্যক্তি, জিও-এনজিও,দেশ-বিদেশের দানশীল,বিত্তবান ও দয়ালু ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগীতা কামনা করেছেন। শিশুটির মা লাবনী বেগম কান্নায় ভেঙে পড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, আপনারা আমার শিশু আজিয়া সুলতানাকে বাঁচাতে আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়কে জানানোর আহ্বান জানাই।
অসুস্থ শিশুটির মা লাবণী বেগম তার (মোবাইল নং- ০১৩২০-৭২৯১৩৫) এ (নগদ) একাউন্ট নাম্বারে সাহায্য সহযোগিতার পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে।