Saturday, May 4, 2024
HomeScrollingমাদারীপুরে জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত খারিজ মামলা আমলে নিয়ে শুনানীর...

মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত খারিজ মামলা আমলে নিয়ে শুনানীর দিন ৯ ডিসেম্বর ধার্য

মাদারীপুর প্রতিনিধি।।
মাদারীপুরে জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে খারিজকৃত ফৌজদারী মামলার রিভিশন আমলে নিয়ে শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার দুপুরে (১৬ নভেম্বর) জেলা ও জজ আদালতের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা আগামী ৯ ডিসেম্বর শুনানীর জন্য দিন ধার্য করেছেন। এর আগে স্বাক্ষী ও প্রমানের দুর্বলতা থাকায় ৬ সেপ্টেম্বর মাদারীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হোসেন মামলাটি খারিজ করে দেন। পরে উচ্চ আদালতে যায় বাদীপক্ষ। সেখান থেকে পরামর্শ নিয়ে ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবি আব্দুল হামিদ বাদীপক্ষের হয়ে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি পুনরায় বহালের জন্য রিভিশন দায়ের করেন।
মামলার ৬ আসামী হলো, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাকির হোসেন বাচ্চু, শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রফিকুল ইসলাম, পাঁচ্চর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ হোসেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এলএ শাখার সার্ভেয়ার মো. রাসেল হোসেন ও শিবচর উপজেলার এম.এল.এসএস বাবুল মিয়া।
মামলা সূত্রে জানা যায়, শিবচর উপজেলার বাঁচামারা এলাকায় চৌধুরী আনিছউদ্দিন ওয়াকফ এষ্টেটের মাটি ভরাট করার জন্য ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি খননের কাজ শুরু করেন ব্যবসায়ীরা। গত ২৮ আগস্ট জেলা প্রশাসকসহ ৬জন ওই এলাকায় উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ড্রেজারগুলো জব্দ না করে পেট্টোল দিয়ে পুুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনায় ৪৮ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবী করে মাদারীপুর আদালতে মামলা দায়ের করেন শিবচর উপজেলার ডাইয়ারচর গ্রামের মনির সরদার।
মামলাটি শুনানী শেষে গত ১লা সেপ্টেম্বর বিচারক পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন’কে (পিবিআই) তদন্ত করে শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন। পরে মামলার বাদী পক্ষ গত ৩ সেপ্টেম্বর তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই’র পরিবর্তে অন্য কোন সংস্থা বা জুডিশিয়ারী তদন্তের জন্য আবদেন করেন। বিজ্ঞ আদালত ৬ সেপ্টেম্বর বাদী পক্ষের সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে জুডিশিয়াল তদন্তের দিন ধার্য করেন। অথচ, বাদী পক্ষ আদালতে স্বাক্ষী, প্রমাণ, ড্রেজার পোড়ানো সংক্রান্ত কোন ছবি, ভিডিওসহ আদালতে হাজির হয়নি। পরে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হোসেন মামলার সার্বিক দিক বিবেচনা করে তথ্য, প্রমান না থাকায় মামলাটি খারিজ করে দেন।

 

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments