Sunday, May 5, 2024
HomeScrollingমায়ের পরকীয়ার জের ধরে ছেলের হাতে এক যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ

মায়ের পরকীয়ার জের ধরে ছেলের হাতে এক যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ

মাদারীপুরের কালকিনিতে মায়ের পরকীয়ার জের ধরে ছেলের হাতে মো. জাহিদ মীর-(২০) নামের এক যুবক খুন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন অভিযুক্ত ছেলের বসতঘরসহ ৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে।

এদিকে খুনের ঘটনায় ওই এলাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। তবে ঘটনাস্থলে সোমবার সকালে বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এলাকা, ভুক্তভোগী পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালীগ্রাম এলাকার ঘুঙ্গিয়াকুল গ্রামের মজিবর মীরের ছেলে টাইলস মিস্ত্রি জাহিদ মীরের সঙ্গে মাদারীপুর জেলার ঝাউদি এলাকার কালাইমারা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। এ নিয়ে প্রবাসীর ছেলে সাকিব ও জাহিদের মাঝে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়।

গত শনিবার দিবাগত রাতে জাহিদ মীর ওই প্রবাসীর বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে নাচতে যায়।

এ সময় জাহিদকে প্রবাসীর ছেলে সাকিব তার বাড়ির একটি নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে যায়। পরে সেখানে বসে সাকিবের নেতৃত্বে সাগর, সামচুল হক, লোকমান, খবির ও জীবনসহ বেশ কয়েকজন মিলে জাহিদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ফেলে রাখে।

পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

রবিবার রাতে জাহিদ মীর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

তার মৃত্যুর খবর এলাকায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা তাৎক্ষণিকভাবে সাকিব, সাহআলম, নুর, সামচু, সাজু ও হালিসহ ৬টি ঘরে অগ্নিসংযোগ করে।

এতে সমস্ত ঘরসহ সকল মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে কালকিনি ও ডাসার থানা-পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নিহতের ভাবি পিপাষা বেগম বলেন, বিয়ে অনুষ্ঠানে আমার দেবর জাহিদ নাচতে গেলে তাকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে সাকিবও তার লোকজন। আমরা তাদের সঠিক বিচার চাই।

নিহতের ভাই আসাদ মীর বলেন, হত্যাকারী সাকিবের মামা লোকমানের প্রভাবেই আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।

তবে এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকার অভিযুক্ত সবাই পলাতক রয়েছেন।

মাদারীপুর সদর থানা ওসি মো. কামরুল হাসান জানান, মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের আটকের চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।

মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান বলেন, আমরাও পরকীয়ার কথা শুনেছি আর এই নিয়েই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। সদর থানায় মামলা প্রক্রিয়া চলছে। তবে মামলা এজাহার হলে বিস্তারিত জানতে পারবো।

RELATED ARTICLES
Continue to the category

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments